ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
আগেই ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি কাপ থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। এবার সালমান বাট স্বেচ্ছায় সরে দাঁড়ালেন কায়েদ-এ-আজম ট্রফি থেকে। পাকিস্তান জাতীয় দলে নিজের ভবিষ্যত দেখতে না পেয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
এরআগে ২০১০ সালে লর্ডসের ঘৃণ্য স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে নিজেকে জড়িয়ে নিন্দা কুড়িয়েছিলেন সালমান বাট। মোহাম্মদ আসিফ ও মোহাম্মদ আমিরকে নিয়ে করা ইতিহাসের জঘন্যতম সেই ফিক্সিংয়ে তিনিই ছিলেন মূল হোতা। এমনকি তখন তিনি পাকিস্তান জাতীয় দলের অধিনায়কও ছিলেন।
স্পট ফিক্সিংয়ের বিষয়টি প্রমাণিত হলে সালমানকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। এই অভিযোগে জেলও খাটতে হয়েছে। এরপর দীর্ঘদিন সব ধরনের ক্রিকেটীয় কর্মকাণ্ড থেকে দূরে ছিলেন। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফিরলেও জাতীয় দলে আর জায়গা পাননি। এবার ব্রাত্য হয়ে পড়েছেন ঘরোয়া ক্রিকেটেও। জাতীয় দলে নিজের ভবিষ্যত না থাকায় জনপ্রিয় প্রথম শ্রেণির টুর্নামেন্ট কায়েদ-এ-আজম ট্রফিকেও খেলবেন না। ইএসপিএনক্রিকইনফোকে বাট বলেন, ‘আমি বুঝতে পারছি পাকিস্তান দলে আমার কোনো ভবিষ্যত নেই। মাঠে ফেরার পর থেকেই রান করছিলাম। এমন পারফরম্যান্সের পরও জাতীয় দলে ডাক পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়নি। এ বছর আমি নিজেকেই প্রশ্ন করলাম- আমি কী করছি? কেন খেলছি?’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি কেন তাহলে আরেক মৌসুম খেলবো? আমি গুরুত্বের সাথে ভেবেছি এবং বাস্তবতা মেনে অনুধাবেন করেছি, আমাকে জাতীয় দলে সুযোগ দেওয়া হবে না। তারচেয়ে নতুন কিছু করি।’
ধারণা করা হচ্ছে, ৩৬ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার যেকোনো মুহূর্তে অবসরের ঘোষণা দিতে পারেন। ফিক্রিসং কাণ্ডে নিষেধাজ্ঞা পাওয়ার আগে পাকিস্তান জাতীয় দলে হয়ে ৩৩টি টেস্ট, ৭৮টি ওয়ানডে ও ২৪টি টি-টোয়েন্টি খেলেছিলেন তিনি।
Discussion about this post