ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
করোনাকালে বাড়তি সতর্কতার জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) থেকেই নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে লালার ব্যবহার! তবে এতোদিনের অভ্যাস থাকায় ভুল হওয়াটাই স্বাভাবিক। সদ্য সমাপ্ত পাকিস্তান-ইংল্যান্ড সিরিজেও মোহাম্মদ আমিরকে দেখা যায় বলে লালা লাগাতে। যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনাও হয় বেশ। আর সেজন্যই শ্রীলঙ্কা সফরকে সামনে রেখে বাংলাদেশের পেসারদেরও থাকতে হচ্ছে বেশ সতর্কতায়।
লালা না লাগিয়ে কিভাবে বল উজ্জ্বল রাখা যায় পেসাররা সেটিই অনুশীলন করছেন পেসাররা। শুধু লালাই নয়, চেষ্টা করছে বলে ঘাম না লাগিয়ে অনুশীলন করার। কেউ ট্রাউজারে ঘষে, কেউ বা আবার তোয়ালে ব্যবহার করছেন বল উজ্জ্বল রাখার ক্ষেত্রে।
সিলেট স্টেডিয়ামে পেসার আবু জায়েদ রাহী একবারো লালার ব্যবহার না করেই বল করেছেন ১২ ওভার। এ ব্যাপারে তিনি জানিয়েছেন, ‘যতটা পারছি, এটা এড়িয়ে চলছি। তবু মাঝেমধ্যে ভুলে হাত চলে যাচ্ছে। চেষ্টা করছি, যেন এই ভুলটা না হয়।’কেউ কেউ আবার ভুলে বলে লালা লাগাচ্ছেন। দীর্ঘদিনের অভ্যাস পরিবর্তনে কিছুটা সময়তো লাগবেই।’
ইচ্ছে করে না করেই হোক বলে লালা লাগালেও এখনও কাউকে শাস্তি দেয়নি আইসিসি। তবে এর শাস্তির বিধান কিন্তু রয়েছে। এক ইনিংসে দু’বার বলে লালা ব্যবহার করলে প্রতিপক্ষ দল উপহার হিসেবে পাবেন অতিরিক্ত ৫ রান। তবে নিষিদ্ধ কিংবা জরিমানা গুনতে হবে না কাউকেই। এ ব্যাপারে জায়েদ বলেছেন, ‘খেলা শুরুর আগে নতুন নিয়মে অভ্যস্ত হয়ে যাবেন তিনি, ‘একটা ভয়ও কাজ করছে। ম্যাচে প্রথমে সাবধান করবে ভুল করলে। এরপর তো শাস্তি! আশা করি, ম্যাচে ভুল হবে না।’
তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে শ্রীলঙ্কায় খেলা হবে কোকাবুরা বলে। তাই সেই বলেই বাংলাদেশের বোলাররা অনুশীলনও করছেন। এ ব্যপারে বোলার শফিউল ইসলাম বলছিলেন, ‘ম্যাচ না খেললে পরিষ্কার বোঝা যাবে না। ম্যাচে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে বল করা লাগবে। তখনই বোঝা যাবে, নতুন নিয়মের প্রভাব কতটা পড়বে। ধরুন, পেসাররা নতুন বলে বল করে গেল। স্পিনাররা এল। এরপর আবার পেসাররা এল বোলিংয়ে। তখন কেমন হয় বোলিং, সেটা দেখতে হবে।’
Discussion about this post