ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এখনো কমেনি। কবে কমবে উত্তর জানা নেই। কারণ ভ্যাকসিন এখনো আবিষ্কার হয়নি। তবে কতোদিন আর জীবন আটকে থাকবে? এ কারণেই সবকিছু স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। এরমধ্যে শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। মার্চের ফের ফের মাঠে ব্যাট-বলের লড়াই। আসছে মাসেই মাঠে গড়াবে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (সিপিএল)। ভেন্যু ত্রিনিদাদ।
এবারের সিপিএলে খেলার প্রস্তাব পেয়েছেন তিন বাংলাদেশি ক্রিকেটার। কিন্তু করোনাভাইরাসের সংক্রমণের এই সময়ে সিপিএলে খেলতে যাচ্ছেন না তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুস্তাফিজুর রহমান।
জীবানুমুক্ত পরিবেশে মাত্র দুটি ভেন্যুতে হবে ব্যাট-বলের লড়াই। সব ঠিক থাকলে আগামী ১৮ আগস্ট শুরু হয়ে টুর্নামেন্ট শেষ ১০ সেপ্টেম্বর। মোট ৩৩টি ম্যাচ।
এই আয়োজনে দল পেয়েছিলেন বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তাকে একটি ফ্রাঞ্চাইজি দিয়েছিল ৯০ হাজার ডলারের প্রস্তাব। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৭৬ লাখ টাকা। কিন্তু সেই লোভনীয় সেই প্রস্তাবও ফিরিয়ে দিলেন তামিম। করোনার পরিস্থিতিতে দেশেই থাকছেন তিনি।
তামিম জানালেন, ‘দুটি কারণে প্রস্তাবটি ফিরিয়ে দিয়েছি আমি। প্রথমত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের একটি দলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ। এখন হুট করে প্রিমিয়ার লিগ শুরু হলে ক্লাবটিকে বঞ্চিত করা হবে। দ্বিতীয়ত পরিবার। খেলতে গিয়ে চার্টার্ড ফ্লাইটে দলগুলো যাতায়াত করবে। যদি জরুরি কোন পরিস্থিতিতে দেশে আসতে হয়, তা সম্ভব হবে না।’
এর আগে ২০১৩ সালের আসরে সেন্ট লুসিয়া জোকসের মাঠ মাতিয়েছেন তামিম। সেই আসরে ১৬৪ রান করেনএই ব্যাটসম্যান।
একই কারণে মাহমুদউল্লাহও সিপিএল খেলতে যাচ্ছেন না। ২০১৭ সালে জ্যামাইকা তালাওয়াশের হয়ে ৫ম্যাচে খেলেন বাংলাদেশের টি-টুয়েন্টি অধিনায়ক। রিয়াদ বলেন, ‘আমি এবার প্রস্তাব পেয়েছিলাম দুটি দল সেইন্ট লুসিয়া ও সেইন্ট কিটসের কাছ থেকে। কিন্তু পরিবারের কথা ভেবে এই টুর্নামেন্টে খেলতে যাচ্ছি না।’
সিপিএলে যাচ্ছেন না মুস্তাফিজুর রহমান। তিনি গণমাধ্যমে বলেন, ‘করোনার সংক্রমণ কমলে আমাদের স্থগিত সফর বা হোম সিরিজ শুরু হতে পারে। এ অবস্থায় যদি আমি সিপিএলে খেলার জন্য চুক্তিবদ্ধ হই, তাহলে তো একটা বড় ঝামেলা হয়ে যেতে পারে। আমার দেশ সবার আগে। দেশের হয়েই খেলতে হবে। জাতীয় দলের অনুশীলন কবে শুরু হয়, সেই অপেক্ষায়ই আছি আমি।’
Discussion about this post