ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
এবারের প্রিমিয়ার লিগ শুরুর আগেই অন্তত ২৫ থেকে ৩০ ভাগ পেমেন্ট ক্রিকেটারদেরকে অগ্রিম করে দেয়ার কথা ছিল; কিন্তু চারটি ক্লাব এবার দলবদলের সময় এবং লিগ এক রাউন্ড হয়ে বন্ধ হবার আগে এবং পরে মিলে এখন পর্যন্ত ক্রিকেটাররা তা পাননি। এ তালিকায় রয়েছে ব্রাদার্স ইউনিয়ন, শেখ জামাল, ওল্ডডিওএইচএস আর শাইনপুকুরের মত নামি দলও আছে। তারা এক টাকাও পেমেন্ট করেনি ক্রিকেটারদের।
ক্লাবগুলো এমন আচারণে ক্রিকেটাররা পড়েছেন আর্থিক সমস্যায়। একইসাথে প্রিমিয়ার লিগের আয়োজক-ব্যবস্থাপক সংগঠন ক্রিকেট কমিটি অফ ঢাকা মেট্রোপলিসের চেয়ারম্যান কাজী ইনামও যারপরনাই হতাশ। শনিবার এ ব্যাপারে সংবাদ মাধ্যমে কাজী ইনাম আহমেদ হতাশার পাশাপাশি বিস্ময় প্রকাশ করেন, ‘কি বলেন, কি চারটি ক্লাব ক্রিকেটারদের একটি পয়সাও পেমেন্ট করেনি! কিন্তু সিসিডিএম থেকে তো আগেই বলে দেয়া হয়েছিল, দলবদলের সময়ই অন্তত একটা পার্ট পেমেন্ট করে দিতে হবে। ৫০ ভাগ অগ্রিম দেয়া সম্ভব না হলেও অন্তত ২৫ থেকে ৩০ ভাগ পারিশ্রমিক অগ্রিম দেয়ার কথা বিশেষভাবে বলা হয়েছে। সেখানে চারটি ক্লাব যদি একদমই অগ্রিম পেমেন্ট না করে থাকে, সেটা খুবই দুঃখজনক এবং রীতিমত অপ্রত্যাশিত।’
এখন ওই চারক্লাবের ক্রিকেটার যারা ক্লাবের কাছ থেকে একটি টাকাও অগ্রিম পায়নি তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এ ব্যাপারে সিসিডিএম চেয়ারম্যান কাজী ইনাম বলেন, ‘আসলে আমি বিষয়টি শুনলাম। সিসিডিএম চেয়ারম্যান হিসেবে আমার প্রথম কাজ হবে আগে ওই চার ক্লাবের সাথে যোগাযোগ করে পুরো বিষয়টি ভালোমত জানা। কারণ এটা অবশ্যই আইনের বরখেলাপ। কারণ, পরিষ্কার বলে দেয়া আছে, লিগ শুরুর আগে অন্তত চার থেকে তিন ভাগের একভাগ অগ্রিম পেমেন্ট করে দিতে হবে। সেখানে কিছুই অর্থ দেয়া হবে না, ক্রিকেটারদের- এটা নেহায়েত মোটেই কাম্য নয়। প্রত্যাশিতও নয়। আমরা চাইবো ক্রিকেটাররা যাতে তাদের পাওনা বুঝে পায়। তবে সেটা একটা নিয়মের মধ্য দিয়েই করতে হবে। ক্লাবগুলোর সাথে কথা বলার পর বোর্ডকে জানাবো এবং বিসিবির প্রধান নির্বাহীর সাথে কথা বলে ওই ক্লাবগুলোকে ক্রিকেটারদের পাওনা পরিশোধের কথা জানিয়ে চিঠি দিব।’
Discussion about this post