ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
পুরো বিশ্ব করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। যে কারণে মঙ্গলবার বাঙলা নববর্ষ উদযাপন করতে পারেনি জাতি। ব্যতিক্রম নন মুশফিকুর রহিম ও তামিম ইকবাল। তবে তারা নিজ নিজ গৃহে অবস্থানের মধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে সবার উদ্দেশ্যে দিয়েছেন বিশেষ বার্তা।
মঙ্গলবার পহেলা বৈশাখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুশফিক। এদিন মরণ ব্যাধি করোনা থেকে বাঁচতে সবাই উদ্দেশ্যে তিনি দিয়েছেন ভিডিও বার্তা। বলেছেন, ‘আসসালামু আলাইকুম, আশা করছি আপনারা সবাই ভালো থাকতে প্রতিনিয়ত অনেক কষ্ট করে যাচ্ছেন। প্রথমেই বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি সবাইকে। পুরো বিশ্ব করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। আমাদের দেশও এর ব্যতিক্রম নয়। আমি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিশেষ করে পুলিশ, সেনা, র্যাব এবং আমাদের ডাক্তার, নার্স, ক্লিনার, কর্মচারী যারা প্রত্যক্ষভাবে প্রতিনিয়ত এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছেন। যাতে করে আমরা আপনারা নিরাপদে থাকতে পারি। তাদেরকে অবশ্যই মনের ভেতর থেকে সালাম জানাচ্ছি এবং অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমি নিশ্চিত মহান আল্লাহ তায়ালা আপনাদের এই ত্যাগ দেখছেন। এর পুরস্কার আপনারা অবশ্যই পাবেন। ইনশাআল্লাহ ব্যক্তিগতভাবে চেষ্টা করছি মানুষকে সাহায্য করার। আজকের এই দিনে আহ্বান করছি আপনারা যে যেভাবেই পারুন সবাই সহযোগিতা করুন। মনে রাখবেন আপনি ও আপনার পরিবার ভালো থাকলে চলবে না। আপনার আশেপাশের তথা পুরো দেশের মানুষ যাতে ভালো থাকতে পারে, সুস্থ থাকতে পারে, তাদের যেন খাবারের অভাবে দিন না পার করতে হয়, সেটার দেখার দায়িত্ব আপনার আমার সবার। আসুন আমরা সবাই ঘরে থাকি কিন্তু যেভাবেই পারি সাহায্য করার চেষ্টা করি। একমাত্র আমাদের সবার প্রচেষ্টাই পারে এমন কঠিন মুহূর্তের প্রতিরোধ করতে। এমন কী কারও সামর্থ্য না থাকলে নামাজ আদায় করে রোজা রেখে আল্লাহ পাকের দরবারে দোয়া করুন যাতে এই কঠিন সময়টা পার করতে সাহায্য করেন। আশা করছি আপনারা সবাই নিরাপদে থাকবেন ও সুস্থ থাকবেন এবং বাসায় থাকুন।’
প্রতি বছর বাঙলা নববর্ষের প্রথমটিকে বাঙলিরা বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করে। কিন্তু এবার করোনার কারণে সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। নেই কোন অনুষ্ঠান। আসলে সবাই তো যে যার ঘরে বন্দী। ঠিক এ অবস্থায় তামিম ইকবাল ফেসবুকে জানিয়েছেন, সবাইকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা।
যে যেই অবস্থায় আছেন ঘরে থাকুন, সুস্থ্য থাকুন। আশা করি ভবিষ্যতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আগামী বছরগুলোতে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করবো ইনশাআল্লাহ।’
Discussion about this post