ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
সমালোচনার তোপে ছিলেন তিনি। কারণটাও সংগত। ভারতের অধিনায়কত্বের অভিষেকে সুপার ফ্লপ। দল দুটি টেস্টই হারল আড়াই দিনে। আর মুমিনুল হকের ব্যাটও কথা বলল না। এরপর পাকিস্তান তিনি ফিরলেন সম্ভাবনা জাগিয়ে। কিন্তু দল আগের মতোই ব্যর্থ। টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে হার। সেই হতাশা সঙ্গী করে মুখোমুখি জিম্বাবুয়ের। তবে মিরপুরের শেরেবাংলায় এই ম্যাচের আগে আশার কথা শুনিয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন সহসাই বড় ইনিংস খেলবে বাংলাদেশ দল। এমন কী দলও ফিরবে চেনা পথে।
ঠিক তাই হলো। কথা রাখলেন মুমিনুল। সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিলেন ব্যাটিংয়ে। খেললেন দারুণ এক শতরান। তার সতীর্থ মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে ডাবলসেঞ্চুরি।
আগের দিন ৭৯ রানে শেষ করেছিলেন তিনি। সোমবার মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে তাইতো প্রথম সেশনেই তার শতরান দেখার প্রতীক্ষায় ছিলেন ভক্তরা। হতাশ করলেন না। দেশের মাটিতে নেতৃত্বের অভিষেকেই তুলে নেন সেঞ্চুরি।
জিম্বাবুয়ের বোলার ডোনাল্ড তিরিপানোর বলে কাভার ড্রাইভে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে পেয়ে যান তিন অঙ্কের দেখা। টেস্টে বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান পেয়ে গেলেন তার নবম সেঞ্চুরি। একই সঙ্গে স্পর্শ করেন বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি নয় সেঞ্চুরি করা তামিম ইকবালকে। উঠে গেলেন নতুন এক উচ্চতায়।
পরিসংখ্যান জানাচ্ছে-৪০ টেস্ট খেলে ৯ সেঞ্চুরি মুমিনুলের। নিজের ৬০ নম্বর টেস্ট ম্যাচটি খেলছেন ওপেনার তামিম ইকবাল।
২০৮ মিনিটে ১৫৬ বলে শতরান করেন মুমিনুল। ২৩৪ বলে ১৪ চারে ১৩২ রান তুলে ফেরেন তিনি। বুঝিয়ে দেন তার ব্যাটের চমক একটুও কমেনি।
Discussion about this post