ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
ঢাকা টেস্টের তৃতীয় দিনেই দুটি সুখবর। সকালে প্রথম সেশনেই শতরানে নিজেকে মেলে ধরেছিলেন মুমিনুল হক। লাঞ্চ বিরতি থেকে ফিরেই তিন অঙ্কের দেখা পেয়ে গেলেন মুশফিকুর রহীম। দুই সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশও উড়ছে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসেি্ বড় লিডের স্বপ্ন দেখছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা থাকায় পরিবারের আপত্তির কারণে পাকিস্তান সফরে যান নি তিনি। যদিও তারপরই শোনা যাচ্ছিল ফের পারফরম্যান্স করেই নাকি ফিরতে হবে তাকে। ব্যাপারটা পরিশ্রমী মুশফিকুর রহিম চ্যালেঞ্জটা নিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে সেঞ্চুরি করেন। ফেরেন টেস্ট দলে।
সেই প্রত্যাবর্তনে দেখালেন নিজেকে। ঢাকা টেস্টে সোমবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে লাঞ্চের পরই তুলে নেন ক্যারিয়ারের সপ্তম টেস্ট সেঞ্চুরি। লাঞ্চের পর দ্বিতীয় ওভারেই পেয়ে গেলেন সেই বল। আইন্সলে এনডিলোভুর বলে বাউন্ডারি মেরে পৌঁছে গেলেন শতকে।
সোমবার মিরপুরের শেরেবাংলায় ৩২ রানে তৃতীয় দিনে ব্যাট করতে নামেন মুশফিক। এরপরই অধিনায়ক মুমিনুল হকের সঙ্গে গড়েন দুর্দান্ত জুটি। চতুর্থ উইকেট জুটির ফিফটি আসে ১০০ বলে। একশ তুলেন দু’জন ১৮০ বলে। ২৫১ বলে দেড়শ স্পর্শ করে জুটির রান। এরমধ্যে মুশফিক ৯৫ বলে পেয়ে যান হাফসেঞ্চুরি।
১৬০ বলে সেঞ্চুরি মুশির। দেখে-শুনেই খেললেন তিনি। মুমিনুল হক ৭৯ রানে শেষ করেন আগের দিন। দেশের মাটিতে নেতৃত্বে অভিষেকেই পেলেন শতরান। টেস্টে বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান পেয়ে গেলেন তার নবম সেঞ্চুরি। তার পথ ধরে স্পর্শ করেন বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি নয় সেঞ্চুরি করা তামিম ইকবালকে।
তৃতীয় দিনে এ রিপাের্ট লেখার সময় বাংলাদেশের ১ম ইনিংসে সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৩৮৭ রান। মুমিনুল হক অপরাজিত ১২৮ রানে। অন্যপ্রান্তে মুশফিকুর রহিম ১২৬ রানে ব্যাট করছেন। এর আগে জিম্বাবুয়েকে প্রথম ইনিংসে ২৬৫ রানে অলআউট করে বাংলাদেশের বোলাররা। টাইগারদের লিড ১২৪ রানের।
Discussion about this post