ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
শেষ পর্যন্ত শাস্তির মুখে পড়তেই হলো যুব বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনাল শেষে ধাক্কাধাক্কিতে জড়িয়ে পড়া ৫ ক্রিকেটারকে। বড় শাস্তি পেলেন বাংলাদেশ ও ভারতের পাঁচ ক্রিকেটার। ম্যাচ রেফারি গ্রায়েম ল্যাব্রয় শাস্তি হিসেবে বাংলাদেশের তৌহিদ হৃদয়, শামীম হোসেন ও রকিবুল হাসান আর ভারতের আকাশ সিং ও রবি বিষ্ণুকে দিলেন সাসপেনশন পয়েন্ট। এ কারণে আগামী বেশ কিছু ম্যাচ খেলতে পারবেন না তারা।
পচেফস্ট্রুম থেকে মঙ্গলবার ভোরে ভেসে এসেছে দুঃসংবাদ! এর আগে তদন্ত শেষে দোষ স্বীকার করেন অভিযুক্তরা।
রোববার অনুষ্ঠিত ফাইনালে ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে ভারতকে ৩ উইকেটে হারিয়ে প্রথমবারের মতো যুব বিশ্বকাপের ট্রফি জিতে বাংলাদেশ। ফাইনালে শেষে অনাকাংখিত ঘটনায় মেতে উঠে দুই অনূর্ধ্ব-১৯ দল।
ম্যাচ শেষে উচ্ছ্বাস আর উত্তেজনায়। এক পর্যায়ে ধাক্কাধাক্কিতে জড়িয়ে পড়েন দুই দলের কয়েকজন। এ কারণে শাস্তি পেতে হলো ৫ ক্রিকেটারকে।
বাংলাদেশের মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান তৌহিদ হৃদয় ১০ সাসপেনশন পয়েন্ট পেয়েছেন। মানে ছয়টি ডিমেরিট পয়েন্ট। অলরাউন্ডার শামীম পেলেন ৮ সাসপেনশন পয়েন্ট। এটিও ছয় ডিমেরিট পয়েন্টের সমান। বাঁহাতি স্পিনার রকিবুল পেলেন চারটি সাসপেনশন পয়েন্ট। এটি পাঁচটি ডিমেরিট পয়েন্টের সমান।
তৌহিদ হৃদয় ১০ ম্যাচ নিষিদ্ধ, শামীম হোসেন ৮ ম্যাচ নিষিদ্ধ ও রকিবুল হাসান ৪ ম্যাচ নিষিদ্ধ। ভারতের দুই ক্রিকেটারের মধ্যে আকাশ সিং নিষিদ্ধ ৮ ম্যাচ আর লেগস্পিনার রবি বিষ্ণুইকে নিষিদ্ধ ৫ ম্যাচে।
ভারতের পেস বোলার আকাশ পেলেন৮ সাসপেনশন পয়েন্ট। মানে ছয়টি ডিমেরিট পয়েন্ট। লেগ স্পিনার বিষ্ণুই পেলেন ৫ সাসপেনশন পয়েন্ট। পাঁচটি ডিমেরিট পয়েন্ট।
নিয়ম অনুয়ায়ী-এক সাসপেনশন পয়েন্ট মানে সেই ক্রিকেটার একটি ওয়ানডে অথবা টি-টুয়েন্ট কিংবা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের একটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে পারবেন না। আন্তর্জাতিক দলের বিপক্ষে ‘এ’ দলের ম্যাচও এর অংশ।
সামনের আন্তর্জাতিক ম্যাচগুলোতে কার্যকর হবে তাদের শাস্তি। তাদের এই ডিমেরিট পয়েন্টগুলো থাকবে আগামী দুই বছর।
একইসঙ্গে আরেকটি আরচরণবিধি ভাঙার কথা স্বীকার করে নেন বিষ্ণু। বাংলাদেশ ইনিংসের ২৩তম ওভারে অলরাউন্ডার অভিষেক দাস আউট করে মাত্রাছাড়া উদযাপন করেন তিনি। এ কারণে পেলেন আরও দুটি ডিমেরিট পয়েন্ট। সব মিলিয়ে তার ডিমেরিট পয়েন্ট ৭।
Discussion about this post