ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের প্রথম দিনটা হতাশা আর আক্ষেপেই কাটল বাংলাদেশের। অবশ্য দেশের বাইরে টেস্ট ক্রিকেটে বেশ কিছুদিন ধরেই হেরেই যাচ্ছে দল। টানা আট টেস্টে হেরেছে টাইগাররা। যারমধ্যে ছয়টিতেই ইনিংস ব্যবধানে। পাকিস্তানের বিপক্ষে সেই বৃত্ত থেকে দল বেরিয়ে আসতে পারবে কীনা শঙ্কা রয়েছে।
শুক্রবার রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে বাংলাদেশ ১ম ইনিংসে অলআউট ২৩৩ রানে। হাফসেঞ্চুরি করেন মোহাম্মদ মিঠুন। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দুই ওভারে দুই ওপেনারের বিদায়ের পর বাংলাদেশ দুইশ পেরিয়েছ, এটা হয়তো স্বস্তি দিতে পারে। কিন্তু ব্যাটসম্যানরা উইকেট বিলিয়ে না আসলে আরও বড় কিছু হতে পারতো।
ম্যাচে মিঠুন ছাড়া অন্য ব্যাটসম্যানরা লড়াই করতে পারেন নি। ৬৩ রান করেন তিনি। অন্যরা সম্ভাবনা জাগিয়েও বাজে শট খেলে আত্মহত্যা করলেন! অফ স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা মারা বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের বেশ পুরনো রোগ। সেটা ভালো করেই জানে পাকিস্তান। রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের প্রথম দিনে তাই স্বাগতিক পেসাররা বেশিরভাগ সময়ই করেন অফ স্টাম্পের বাইরে বল। সেই ফাঁদেই পা দিয়েছেন ব্যাটসম্যানরা।
এরমধ্যে ১৩৭ বলে হাফসেঞ্চুরি করেন মিঠুন। কিন্তু ইনিংসটাকে বড় করা হয়নি। ৮২.৫ ওভারে এসে অলআউট টাইগাররা। এরপরই দিনের খেলার ইতি টানেন দুই আম্পায়ার। শেষ বেলায় পাকিস্তানের এক-দুটি উইকেট নেওয়ার সুযোগ পেল না বাংলাদেশ। যথেষ্ট আলো না থাকায় আগেভাগেই দিনের খেলার ইতি টানেন দুই আম্পায়ার।
ষোলো মাস পর টেস্ট খেলতে নেমে বেশ লড়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু তিনিও হতাশ করে বিদায় নেন। মোহাম্মদ আব্বাসের অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের বল খেলতে গিয়ে ক্যাচ দেন কিপার মোহাম্মদ রিজওয়ানের গ্লাভসে। মুমিনুল হক, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও লিটন দাসও একইভাবে উইকেটে থিতু হয়েই ফিরেন সাজঘরে।
আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের এই লড়াইয়ে প্রথম দিনে দাপট থাকল পাকিস্তানেরই। রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামের উইকেটে পেস বোলারদের দিয়েই বাংলাদেশকে কাবু করল পাকিস্তান। তিন পেসার নেন ৭ উইকেট।
সকালে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ২ ওভার শেষে ২ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৩। দ্রুত ফিরেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও সাইফ হাসান। এরপর মুমিনুল হক ও নাজমুল হোসেন শান্ত প্রতিরোধ গড়েন। কিন্তু ৫৯ বলে ৩০ রানে ফেরেন অধিনায়ক। বিদায়ের আগে শান্তর সঙ্গে গড়েন ৫৯ রানের জুটি।
অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা শান্ত ১১০ বলে ৪৪ রান করে ফেরেন। মাহমুদউল্লাহ ৪৮ বলে ২৫। লিটন দাস ৪৬ বলে ৩৩ তুলে আউট। ইনিংসে ৫৩ রানে ৪ উইকেট নেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। দুটি করে উইকেট শিকার করেন মোহাম্মদ আব্বাস ও হারিস সোহেল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৮২.৫ ওভারে ২৩৩ (তামিম ৩, সাইফ ০, শান্ত ৪৪, মুমিনুল ৩০, মাহমুদউল্লাহ ২৫, মিঠুন ৬৩, লিটন ৩৩, তাইজুল ২৪, রুবেল ১, আবু জায়েদ ০, ইবাদত ০*; আফ্রিদি ২১.৫-৩-৫৩-৪, আব্বাস ১৭-৯-১৯-২, নাসিম ১৬-০-৬১-১, ইয়াসির ২২-২-৮৩-০, হারিস ৬-২-১১-২)
Discussion about this post