ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
আগের দিনই বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, মাশরাফি বিন মর্তুজা চাইলে মাঠ থেকেি্ তাকে দেবে দেবেন তারা। সেই কথার জবাবে মুখ খুললেন খোদ এই তারকা ক্রিকেটার। জানালেন কারও জোরাজুরিতে অবসর নেবেন না।
সোমবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এলিমিনেটর ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ৭ উইকেটে হেরে বিদায় নিয়েছে মাশরাফির দল ঢাকা প্লাটুন। চমকে দিয়ে বাঁহাতের তালুতে ১৪ সেলাই নিয়েই মাঠে নামেন মাশরাফি!
এই কিংবদন্তি ক্রিকেটার জানালেন, ক্রিকেটকে আঁকড়েই বাঁচতে চান। যত দিন সম্ভব থাকতে চান মাঠে। সোমবার বলেন, ‘আমি তো মনে হয় না বলেছি, জাতীয় দলে খেলব। এখানে যে ৭০-৮০ জন ক্রিকেটার খেলছে তারা কি সবাই জাতীয় দলের আশা করে খেলছে। অবশ্যই না। তো খেলাটা খেলে যাচ্ছি। আমি তো আপনাদের বলেছি, আমি খেলছি। বারবার আপনারাই আমার খেলাটা নিয়ে আসছেন জাতীয় দলে। বারবার বলছি জাতীয় দল কেন্দ্র করেই কেউ ক্রিকেট খেলে না। সামনে যে খেলা আসবে সেটাই উপভোগ করবো।’
বিসিবি প্রধান জানান, মাঠ থেকে ঘটা করে মাশরাফিকে বিদায় দিতে চান তারা। মাশরাফি স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন, এই মুহূর্তে মাঠ থেকে বিদায় নেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। বলেন, ‘আর মনে হয়, আমি খেলতে চাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা আমার আছে। কারো জোর করায় তো আমি আর কিছু করবো না। অবসর বা অন্য কিছু। বাংলাদেশে অনেক খেলোয়াড় আছে যারা মাঠ থেকে অবসরে যায়নি। একটা সময় হয়তো ভাবতাম যে মাঠ থেকে করবো কি করবো না। দেখা যাক। এখন মনে হচ্ছে প্রয়োজন নেই।’
এখানেই শেষ নয় আরও বলেন, ‘ক্রিকেট বোর্ডকে আন্তরিক ধন্যবাদ যে, ক্রিকেট বোর্ড চেয়েছে আমার বিদায়ী ম্যাচ আয়োজনের জন্য বা অবসরের বিষয়ে চিন্তা করার জন্য। আমি পরিষ্কার বার্তা, আমার ইচ্ছা নাই। তবে যদি কখনো সুযোগ আসে তাহলে দেখা যাবে। আবার কার কাছ থেকে নেব সেটাও কথা। আমার কোনো ইচ্ছা নাই।’
মাঠ থেকে অবসর প্রসঙ্গে মাশরাফি আরও বলেন, ‘দেখুন, আমার মনে হয়, আমার অতোটুকু স্বাধীনতা তো আছে যে আমি খেলতে চাই। কারও জোর করায় তো আমি আর কিছু করব না। বাংলাদেশে অনেক খেলোয়াড় আছে যারা মাঠ থেকে অবসরে যায়নি। আমার থেকেও বড় খেলোয়াড় আছে। হাবিবুল বাশার সুমন তো বাংলাদেশের হয়ে সংকটের সময়ে সব সময় রান করেছে। সেও মাঠের থেকে অবসরে যায়নি। একটা সময় হয়তো ভাবতাম যে মাঠ থেকে করব কি করব না। এখন মনে হচ্ছে, প্রয়োজন নেই।’
Discussion about this post