ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
ম্যাচ গড়াপেটার কলঙ্ক থেকে যেন মুক্তি নেই। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টিতে একের পর এক ঘটনার জন্ম হচ্ছে। পুরনো খবর ফাঁস হচ্ছে নতুন করে। তেমনই এক খবর জানা গেল মঙ্গলবার। ২০১৬ সালের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) রংপুর রাইডার্সের হয়ে খেলার সময় ফিক্সিংয়ের চেষ্টা করেছিলেন পাকিস্তানি ক্রিকেটার নাসির জামশেদ।
এর আগে ২০১৭ সালে পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে ছিলেন জামশেদ। ২০১৮ সালের আগস্টে তাকে সব ধরণের ক্রিকেট থেকে ১০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে পিসিবি। যদিও নিজে অভিযোগ উড়িয়ে দিচ্ছিলেন। এবার জেরার একপর্যায়ে ঠিকই স্বীকার করে নিয়েছেন ম্যাচ ফিক্সিংয়ের সঙ্গে সতীর্থ খেলোয়াড়দের ঘুষ দেয়ার কথা।
ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টারের একটি আদালতে মঙ্গলবার নিজের দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন জামশেদ।
ম্যাচ ফিক্সিংয়ের এসব পরিকল্পনায় জামশেদের সঙ্গে জড়িত ছিলেন ইউসুফ আনোয়ার ও মোহাম্মদ ইজাজ নামে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিক। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে ফিক্সিংয়ের অভিযোগে ইংল্যান্ডে আটক হওয়ার পর বিচার শুরু হয় তাদের। যার জের ধরে পিসিবি তাকে ১০ বছর নিষিদ্ধ করে। তারপরও চলছিল শুনানি।
তার পথ ধরে জানা গেল-২০১৬ সালের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) রংপুর রাইডার্সের হয়ে খেলার সময় ফিক্সিংয়ের চেষ্টা করেন জামশেদ। তার সঙ্গে জুয়াড়িদের কথা ছিল, ব্যাটে একটি নির্দিষ্ট রঙের গ্রিপ লাগিয়ে মাঠে নামবেন তিনি। কিন্তু কোনো এক কারণে সেই শর্ত পূরণ করতে পারেননি জামশেদ।
একই আসরে বরিশাল বুলসের বিপক্ষে একটা ম্যাচেও ফিক্সিংয়ের চেষ্টা করেন পাকিস্তানি এই ক্রিকেটার। কিন্তু ওই ম্যাচে একাদশ থেকেই বাদ পড়ায় সেবারও সফল হননি। এই দুটি ম্যাচে ফিক্সিং করার জন্য আগেই টাকা নিয়ে রেখেছিলেন পাকিস্তানি এই ওপেনার।
২০১৭ ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তান সুপার লিগে অবশেষে জুয়াড়িদের সঙ্গে পরিকল্পিতভাবে ফিক্সিং করতে পারেন জামশেদ। ইসলামাবাদ ইউনাইটেড ও পেশোয়ার জালমির একটা ম্যাচে তাঁর সঙ্গে শর্ত ছিল প্রথম দুই বলে কোনো রান না করা। সেটি করেন তিনি।
Discussion about this post