ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
ইতিহাস গড়তে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ২০ ওভারে ১৭৫ রান। কিন্তু রবিবার নাগপুরে শুরুতেই লিটন দাস ও সৌম্য সরকারকে হারিয়ে সে পথটা বেশ দূরেরই মনে হয়েছিল টাইগারদের। কিন্তু দ্রুত সময়ের মধ্যে ২২ গজে সেট হয়ে নিজেকে মেলে ধরে মোহাম্মদ নাঈম শেখ সফরকারীদের দেখান আশা। এক পর্যায়ে তো তার হার না মানা ৮১ রানের ঝড়ো ইনিংসে ভর করে জয়ের স্বপ্ন বুনছিল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। কিন্তু মিডেল অর্ডার ও লোয়ার মিডেল অর্ডারের ব্যর্থতায় পারেনি লাল-সবুজ প্রতিনিধিরা।
ভারতের কাছে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হারলেও বাংলাদেশের প্রাপ্তির খাতায় যোগ হয়েছে নাঈম শেখ। এ বাঁহাতি রবিবার শুরুটা করেছিলেন খুব ধীরে। পরে অবশ্য নিজেকে খুজে পান। সে পথ ধরে চাহালের প্রথম ওভারের প্রথম তিন বলেই চার হাঁকান মোহাম্মদ নাঈম। সেই ওভারে বাংলাদেশ ওপেনার নেন ১৪ রান। ঐ ওভার থেকে বাংলাদেশ নিতে পেরেছিল ১৫ রান।
তৃতীয় উইকেটে মোহাম্মদ মিথুনকে নিয়েই নাঈম হাঁটছিলেন দ্রুত। সে ধারাবাহিকতায় এ বাঁহাতি মাত্র ৩৪ বলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে নিজের প্রথম হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। সে সময় তার ব্যাট থেকে আসে ৭ চার ও ১ ছয়। তার এসব শটস দেখে লিজেন্ড সুনীল গাভাস্কার পর্যন্ত উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন।
হাফসেঞ্চুরির পর নাঈম আরও প্রতিপক্ষের বোলার ওপর চড়াও হন। সে ধারাবাহিকতায় নাগপুরে ৪৮ বলে তিনি খেলেন ৮১ রানের চোখ জুড়ানো ইনিংস। তার ইনিংসে ছিল- ১০ চার ও ২ ছয়ে ছিল। তারপরও ম্যাচ জেতেনি বাংলাদেশ।
নাগপুরে ৮১ রানের ইনিংস খেলার পর নাঈম বলেন, ‘ম্যাচ শেষ করে আসতে পারলে তো যে কোনো ব্যাটসম্যানের ভালো লাগার কথা। আমি এই ম্যাচটা শেষ করে আসতে পারিনি, এটা ঠিক আফসোস না-আমি মনে করি এখান থেকে শেখার আছে অনেক কিছু। শিখলাম যে এই পরিস্থিতি থেকে কিভাবে খেলা উচিত ছিল, কিভাবে ম্যাচ বের করে নিয়ে আসতে হয়।’
জাতীয় দলের জার্সিতে প্রথম মিশনেই নাঈম নিজেকে চিনিয়েছেন একজন জাত ওপেনার হিসেবে। সব মিলিয়ে তিন ম্যাচে তিনি ৪৭.৬৬ গড়ে ১৪৮ রান করেছেন। যা করতে তিনি খরচ করেন ১৪৮ বল। তার এমন পারফরম্যান্সই কিন্তু ওপেনিংয়ে তামিমের আরেক নতুন সঙ্গী পাওয়ার আভাস পাচ্ছে টিম বাংলাদেশ।
Discussion about this post