ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
জিততে দক্ষিণ আফ্রিকার রবিবার দরকার ছিল ৩৯৫ রান। হাতে ছিল ৯ উইকেট। কিন্তু বিশাখাপত্নমের উইকেটে কাজটা ছিল সফরকারীদের জন্য বড় কঠিন। যে কারণে ফাফ ডু-প্লেসির দল চেয়েছিল কোন মতে পঞ্চম দিনটি পার করে দিতে। কিন্তু না। তেমন কিছুই হয়নি। উল্টো দেড় সেশনে রবীন্দ্র জাদেজা আর মোহাম্মদ শামির বোলিং তোপে ১৯১ রানে গুটিয়ে যায় প্রোটিয়া। যে কারণে সিরিজের প্রথম টেস্ট ভারত জিতে যায় ২০৩ রানের বিরাট ব্যবধানে। একই সঙ্গে সিরিজে তারা এগিয়ে গেল ১-০ ব্যবধানে।
পঞ্চম দিনে শুরুতেই প্রতিপক্ষকে কোণঠাসা করে ফেলা শামি নেন পাঁচ উইকেট। এক ওভারে তিনটিসহ মোট চার উইকেট নেন জাদেজা।
শেষ দিনে জিততে দক্ষিণ আফ্রিকার দরকা ছিল ৩৮৫ রান। ড্র করতে দলটির পুরোটা দিন কাটালেই হতো। কিন্তু টপ ও মিডল অর্ডার পুরোপুরি ব্যর্থ হওয়ায় ন্যুনতম লড়াইও করতে পারেনি দলটি।
রবিবার প্রোটিয়া শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। দ্বিতীয় ওভারে ডি ব্রুইনকে বোল্ড করে ৬৬ ম্যাচে ৩৫০ উইকেটের রেকর্ড স্পর্শ করেন এই অফ স্পিনার। বসেন কিংবদন্তি স্পিনার মুত্তিয়া মুরালিধরনের পাশে। এর পরের ওভারে টেম্বা বাভুমার স্টাম্পস উড়িয়ে দেন শামি। ব্যাটিং ধসের মাঝে দায়িত্ব নিতে পারেননি প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান কুইন্টন ডি ককও। ৭০ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে প্রথম সেশনেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়ে দলটি। পরে ভারতের প্রতীক্ষা বাড়ান ড্যান পিট ও সেনুরান মুথুসামি। নবম উইকেটে পিটের সঙ্গে ৯১ ও শেষ উইকেটে কাগিসো রাবাদার সঙ্গে ৩০ রানের জুটি গড়ে হারের ব্যবধান কমিয়েছেন মুথুসামি। পিট করেন ৫৬ রান। টেস্টে এটাই তার সর্বোচ্চ। ৪৯ রানে অপরাজিত থাকেন মুথুসামি। শেষ দিকে শামির পঞ্চম শিকারে পরিণত হন রাবাদা।জোড়া সেঞ্চুরিতে ৩০৩ রান করা রোহিত শর্মা হয়েছেন ম্যাচ সেরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত ১ম ইনিংস: ৫০২/৭ (ইনিংস ঘোষণা)
দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস: ৪৩১
ভারত ২য় ইনিংস: ৩২৩/৪ (ইনিংস ঘোষণা)
দক্ষিণ আফ্রিকা ২য় ইনিংস: (লক্ষ্য ৩৯৫) (আগের দিন ৯ ওভারে ১১/১) ৬৩.৫ ওভারে ১৯১ (মারক্রাম ৩৯, এলগার ২, ডি ব্রুইন ১০, বাভুমা ০, দু প্লেসি ১৩, ডি কক ০, মুথুসামি ৪৯*, ফিল্যান্ডার ০, মহারাজ ০, পিট ৫৬, রাবাদা ১৮; অশ্বিন ২০-৫-৪৪-১, জাদেজা ২৫-৬-৮৭-৪, শামি ১০.৫-২-৩৫-৫, ইশান্ত ৭-২-১৮-০, রোহিত ১-০-৩-০)
ফল: ভারত ২০৩ রানে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: রোহিত শর্মা
সিরিজ: ২ ম্যাচ সিরিজে ভারত ১-০তে এগিয়ে
Discussion about this post