ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
জাতীয় লিগে খেলতে যেকোন ক্রিকেটারেরই বিপ টেস্টে পেতে হবে ১১ পয়েন্ট। কিন্তু দুই দফা চেষ্টা করেও লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেননি মোহাম্মদ আশরাফুল, আব্দুর রাজ্জাক, নাসির হোসেনরা। তবে আগের চেয়ে উন্নতি করায় নির্বাচকদের বিশেষ বিবেচনা নিয়ে জাতীয় লিগে খেলার ছাড়পত্র পেয়েছেন তারা।
রবিবার নতুন-পুরাতন মিলে ৩৫ জন ক্রিকেটার বিপ টেস্টে দেন। এদের মধ্যে অনেকেই উন্নতি করেছেন বলে জানিয়েছেন বিসিবি ট্রেনার তুষার কান্তি হাওলাদার, ‘৩০-৩৫ জনের মতো দিয়েছে। এদের মধ্যে যারা খুব চেনা মুখ যেমন আশরাফুল। তারা সবাই উন্নতি করেছে কিন্তু কেউ একদম বেঞ্চমার্ক (এগারো) স্পর্শ করতে পারেনি। তাদের জন্য হয়ত নির্বাচকরা আলাদা করে ভাববেন। তাদের বয়স এবং খেলার অভিজ্ঞতা হয়ত বিচার করা হবে।’
এরআগে প্রথমবার বিপ টেস্টে আশরাফুল পেয়েছিলেন ৯.৫। যে কারণে এবারের জাতীয় লিগে তার খেলা নিয়ে শঙ্কা ছিল। রবিবার দ্বিতীয় দফা এ টেস্টে অংশ নিয়ে তিনি পেয়েছেন ১০.১। যে কারণে নির্বাচকরা সাবেক এ অধিনায়কের প্রতি খুশি হয়েছেন। এদিকে বিপ টেস্টে দশের কাছাকাছি আছেন মোহাম্মদ শরিফ, নাসির, রাজ্জাকরাও। আর ইমরুল কায়েস বিপ টেস্টে পেয়েছেন এগারোর বেশি। জাতীয় দল ও বিসিবির কোন ধরনের দলে অনেকদিন না থাকা পেসার আল-আমিন সর্বোচ্চ ১২.১ স্কোর করেন।
১০ অক্টোবর থেকে মাঠে গড়াতে যাওয়া জাতীয় লিগে খেলবেন আশরাফুল বরিশালের হয়ে। তারপরও সাবেক এ অধিনায়কের মনে এখনও রয়েছে সংশয়, ‘আগের চেয়ে উন্নতি হয়েছে। শেষবার ৯.৭ ছিল আমি আজ ১০.১ দিয়েছি। আমি মনে করি যত সময় যাবে আরও উন্নতি হবে। এখনো জানি না আসলে কি হবে। এতটুকু জানি উন্নতি হয়েছে। এভাবে ট্রেনিং করতে থাকলে উন্নতি হবে। ঠিক জানি না প্রক্রিয়াটা কি। যদি আবার দিতে হয় তাহলে দেব।’
বিপ টেস্টে যারা এগারো পাবেন না, তাদের বারবারই পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন। যে কারণে আসন্ন লিগে খেলার আশা বেড়েছে আশরাফুলদের।
Discussion about this post