ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
শেষ পর্যন্ত চলেই যেতে হলো তাকে। বলা হচ্ছে একের পর এক অবহেলা সহ্য করতে না পেরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ছাড়লেন নাজমুল আবেদীন ফাহিম। ৩০ সেপ্টেম্বর শেষবারের মতো করলেন অফিস। বিসিবির সঙ্গে ১৪ বছরের সম্পর্কের ইতি টানলেন তিনি। বাংলাদেশের ক্রিকেটের ‘ফাহিম স্যার’ নামেই খ্যাত তিনি।
বিকেএসপির কোচ হিসেবে শুরু। সেই দ্বায়িত্ব সফলভাবে পালন করেই এক পর্যায়ে চলে আসেন বিসিবিতে। বাংলাদেশের অভিষেক টেস্টের উইকেট তৈরিতেও রেখেছেন ভূমিবা। ২০০৫ সালে বিকেএসপির চাকুরি ছেড়ে দিয়ে বিসিবিতে ডেভেপম্যান্ট কোচ হিসেবেযোগ দেন। ছিলেন গেম ডেভেলপম্যান্ট ম্যানেজার। শেষদিকে গেম ডেভেলপম্যান্ট থেকে তাকে সরিয়ে ওম্যান্স উইংয়ের দায়িত্ব দিয়ে তাকে বড় ধাক্কা দেয় বিসিবি। এরপর থেকেই কাজটা ঠিক উপভোগ করতে পারছিলেন না।
সাকিব, মুশফিকদের এক সময়ের স্যার হতাশা নিয়েই ছাড়লেন বিসিবি। গত সোমবার দুপুরে জাতীয় টুর্নামেন্ট কমিটির সভা শেষে ফাহিমের হাতে ফুল ও স্মারক ক্রেস্ট দিলেন বিসিবির পরিচালকরা। বোর্ড পরিচালকরা দেন হেলমেট যুক্ত চাবির রিং।
তাকেই বলা হতো বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের ‘অভিভাবক’। ‘ফাহিম স্যার’ সবার ভরসার কেন্দ্রতেই থাকতেন। অথচ বয়স হয়ে গেছে বলে অবসর নয়-দুঃখ নিয়েই বিসিবির দায়িত্ব ছাড়লেন তিনি। সাংবাদিকদের নাজমুল বলেন, ‘দেখুন, কাজের ক্ষেত্রটা যদি মনের মতো না হয়, সেটি উপভোগ করা যায় না। কাজ উপভোগ করা জরুরি। আমি ঠিক উপভোগ করতে পারছিলাম না। এ কাজ চালিয়ে যাওয়ার তাই যৌক্তিকতা পাচ্ছিলাম না।’
ফাহিম স্যার আরও বলেন, ‘আমার কাজের ক্ষেত্র দিনে দিনে ছোট হয়ে যাচ্ছিল। আমার মূল কাজ কোচিং করানো। সেই জায়গা থেকে ধীরে ধীরে দূরে সরে গেছি। কোচিং না করালেও পরামর্শ বা খেলোয়াড়দের নানাভাবে অনুপ্রাণিত করার সুযোগ ছিল। কিন্তু আমি খেলোয়াড়দের কাছেই থাকতে চেয়েছি, সেটি ছেলেদের ক্রিকেট হোক কিংবা মেয়েদের।’
নাজমুল আবেদীন ফাহিম বিকেএসপিতে কাজ করেছেন ১৭ বছর। ২০০৫ সাল থেকে ছিলেন বিসিবিতে। তার অভিজ্ঞতাটা ক্রিকেট কর্তারা ঠিক মতো কাজে লাগাতে পারলেন না!
Discussion about this post