ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
সময়টা একেবারেই ভালো যাচ্ছে না বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের। একের পর এক হারে টাইগাররা আবার হয়ে পড়েছে কোনঠাসা। এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে রাসেল ডমিঙ্গোর শিষ্যরা খুব করেই চাইছেন একটা জয়। শুক্রবার থেকে শুরু হতে যাওয়া ত্রি-দেশীয় টি-টুয়েন্টি সিরিজে নিজেদের প্রথম ম্যাচে তাই পাখির চোখ করে রয়েছেন সাকিব আল হাসানরা।
গেল বিশ্বকাপের শেষ দিক থেকে হতাশা ভর করে বাংলাদেশ শিবিরে। যা এখনও চলমান। এমন এক পরিস্থিতে শুক্রবার ত্রিদেশীয় টি-টুয়েন্টি সিরিজের উদ্বোধনী ম্যাচে সাড়ে ছয়টায় জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি হবে টাইগাররা। এ টুর্নামেন্টের অপর দলটি জিম্বাবুয়ে।
মাঠের লড়াইয়ের আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অবশ্য তিন দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান, হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ও রশিদ খান মিরপুর হোম অব ক্রিকেটের মিডিয়া সেন্টারে অংশ নেন ট্রফি উন্মোচনে। সেখানে তারা মেতে উঠেন আড্ডায়। যা দেখে কিন্তু একবারের জন্যই কারো মনেই হয়নি এ তিন অধিনায়ক শুক্রবার থেকে একে অন্যের ‘শুত্রু’ হয়ে উঠবেন।
নিজের স্বরূপে ফিরে পেতে সাকিব আল হাসানরা খুব করেই জয় চাইছে। এটা যেমন ঠিক। তেমননি জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক হ্যামিল্টন মাসাকাদজা কোনভাবেই চাইছেন না টাইগাররা জিতে যাক। বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে তার কথায় কিন্তু ব্যাপারটি ফুটে উঠেছে স্পষ্টই।
দুঃসময় পেছনে ফেলতে আজ বাংলাদেশ চাইছে একটি জয়। কিন্তু চাইলেই কি সেটা সম্ভব। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম সংস্করণে বাংলাদেশের বিপক্ষে জিম্বাবুইয়ানদের রেকর্ডও খারাপ নয়। এই সংস্করণে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশ সব শেষ খেলেছে সাড়ে তিন বছর আগে—২০১৬ সালের জানুয়ারিতে। টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ সামনে রেখে খুলনায় হওয়া ঐ সিরিজে বাংলাদেশ ২-২-এ ড্র করেছিল। হেরেছিল শেষ দুটি ম্যাচ।
ত্রিদেশীয় টি-টুয়েন্টি সিরিজে নতুন জার্সিতে মাঠে দেখা যাবে বাংলাদেশ দলকে। গাঢ়-সবুজ জার্সিতে বুকের অংশে বাড়ানো হয়েছে লালচে রং। গতকাল ট্রফি উন্মোচনের সময় সাকিব আল হাসানের গায়ে দেখা যায় নতুন ঐ জার্সি।
এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে টি-টুয়েন্টিতে মুখোমুখি হয়েছে ৯বার। এরমধ্যে টাইগাররা জিতেছে ৫টিতে। এদিকে সফরকারীদের জয় ৪টিতে। এদিক দিয়ে একটু এগিয়ে স্বাগতিকরা। কিন্তু ব্যাপারটি মোটেই আমলে নিচ্ছেন না জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক হ্যামিল্টন মাসাকাদজা, ‘হ্যাঁ। কেননা ম্যাচের ফরম্যাট যত ছোট হবে, দলগুলোর ব্যবধান ততই কমে আসবে। টি-টোয়েন্টি এমন একটি ফরম্যাট, যেখানে যে কেউ একাই ম্যাচ টেনে নিতে পারে ও ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। সব মিলিয়ে এই ফরম্যাটে বড় দল কিংবা ছোট দল বলে কিছু নেই।’
বাংলাদেশ অবশ্য শুক্রবার জিম্বাবুয়ের চেয়ে এগিয়ে থাকছে র্যাংকিংয়ে। এ তালিকায় জিম্বাবুয়ে আছে ১৪ নম্বরে। আর বাংলাদেশ আছে ১০ নম্বরে। এটাকে পুঁজি করেই টাইগারদের চোখ শুধুই জয়ে। এখন দেখার বিষয় সেই কাজতেই কয়েকঘণ্টা পরে করতে পারে কি না সাকিব আল হাসানরা। আপাতত অপেক্ষায় টাইগার ভক্তরা।
Discussion about this post