চট্রগ্রাম টেস্ট দৃশ্যপট পাল্টে দিল! নিউজিল্যান্ডের মিডিয়া জানাচ্ছিল তাদের বড় ভয়ের নাম সাকিব আল হাসান। কিন্তু এখন দেশটির সেরা দুই পত্রিকা ‘দ্য নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড’ এবং ‘দ্য প্রেস’ চট্টগ্রাম টেস্ট ড্র হওয়ার পর প্রশংসার বেশিরভাগটাই বরাদ্দ করেছে বাংলাদেশ দলের জন্য। তাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বাংলাদেশের স্পিন বোলারদেরও প্রশংসা করেছে পত্রিকা দুটি। ‘দ্য প্রেস’ লিখেছে-‘খেলাটা যদি বিচারকদের পয়েন্টের ভিত্তিতে নির্ধারিত হতো, তাহলে নিঃসন্দেহে চট্টগ্রাম টেস্টে বিচারকদের সম্মিলিত সিদ্ধান্তে পয়েন্টের ব্যবধানে বাংলাদেশই জিতত।’
‘দ্য নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড’ সোহাগ গাজীর পারফরম্যান্সের প্রশংসা করতে গিয়ে বলেছে-‘চট্টগ্রাম টেস্টের শেষ দিনের আগে গাজীর পরিচয় ছিল অভিষেকে টেস্ট ক্রিকেটের প্রথম বলে ছক্কা খাওয়া। যেটি মেরেছিল ক্রিস গেইল। টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম ওভারে ১৮ রান গুনেছিল সে। কিন্তু চট্টগ্রাম টেস্টের শেষ দিনের পর গাজীকে ক্রিকেট বিশ্ব চিনবে রেকর্ডধারী হিসেবে। যে কি না প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ২০৯৭ টেস্টের ইতিহাসে সেঞ্চুরির পাশাপাশি হ্যাটট্রিকের রেকর্ড গড়েছে। বঙ্গোপসাগরের কাছে বরিশাল থেকে উঠে আসা ২২ বছর বয়সী এ স্পিনারকে একটু অন্যভাবেই মনে রাখবে কোরি অ্যান্ডারসন, বি জে ওয়াটলিং ও ডাগ ব্রেসওয়েল। তারাই গাজীর হ্যাটট্রিকের শিকার কি না!’ ‘দ্য প্রেস’ লিখেছে -‘চট্টগ্রামের নির্জীব পিচেও কিন্তু বাংলাদেশের স্পিনাররা যথেষ্ট ভালো বোলিং করেছে। দুই ইনিংস মিলে সফরকারীদের যে ১৭টি উইকেট পড়েছে তার ১৬টিই দখল করেছে স্বাগতিকদের স্পিন বোলাররা।’
টেস্টের সেরা সোহাগ গাজীকে নিয়ে ‘হেরাল্ড’ লিখেছে-‘গাজীর হাতে বড় টার্ন হয়তো নেই, কিন্তু ততটুকুই আছে যতটুকু হলে ব্যাটসম্যানদের বিপাকে ফেলা যায়। ওর বড় অস্ত্র সোজা বল। যেটা বোলিং অ্যাকশনে ব্যাটসম্যানরা ধরতে পারে না। অ্যান্ডারসন, ওয়াটলিং ও ব্রেসওয়েল-তিনজনই গাজীর বল বুঝতে না পেরে আউট হয়েছে।’
কিউই মিডিয়া বলছে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে ২১ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টেও ভোগাতে পারেন সোহাগ গাজী!
http://youtu.be/QV52-KFhFQY
Discussion about this post