ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
আঙুলের চোট ভয় পাইয়ে দিয়েছিল তাকে। তবে স্বস্তির খবর ফ্র্যাকচার ধরা পড়েনি। এ কারণেই রোববার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে তাকে বেশ নির্ভারই দেখাল। গণমাধ্যমেরও মুখোমুখি হলেন এই অলরাউন্ডার। জানালেন আফগানিস্তানের সঙ্গে টেস্টে লড়াইটা বেশ ভাল হবে!
সেপ্টেম্বরের ৫ তারিখে আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট খেলতে নামবে বাংলাদেশ। তারপরই ত্রিদেশীয় টি-টুয়েন্টি টুর্নামেন্ট খেলবে টাইগাররা। আপাতত মেহেদি হাসান মিরাজের ভাবনায় শুধুই টেস্ট ক্রিকেট। বলছিলেন, ‘আমি বলব, ওয়ানডে আর টি-টুয়েন্টি ক্রিকেটের সঙ্গে টেস্ট ক্রিকেটের অনেক পার্থক্য আছে। যেমন ওরা (আফগানরা) ওয়ানডে, টি-টুয়েন্টিতে রান সেভ দিয়ে বল করে এর জন্য ব্যাটসম্যান চার্জ করে খেলে। টেস্ট ক্রিকেটে তো ওরকম না যে জোরে মারা বা চার্জ করে ক্রিকেট খেলা। যতক্ষণ ভালো বল করবে ততোক্ষণ সারভাইব করবে, একটা বল খারাপ করলে সেটিই মারবে এটাই টেস্ট ক্রিকেট।’
টেস্ট ম্যাচটির আগে প্রস্তুতি নিয়ে খুশি মিরাজ। বলেন, ‘দেখুন সবার পরিশ্রম দেখে আমার কাছে অনেক ভালো লাগছে। আল্লাহর রহমতে ভালো কিছু হবে। দলের সিনিয়র যারা আছে তারা অনেক পরিশ্রম করে। সাকিব ভাইকে দেখেছি বিশ্বকাপ চলাকালীন অনেক পরিশ্রম করেছে। মুশফিক ভাই, রিয়াদ ভাই ওনাদের কাছে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে।’
তবে আফগানদের সমীহ করছেন মিরাজ। জানাচ্ছিলেন, ‘অবশ্যই আমরা ডমিনেট করে খেলার চেষ্টা করব। সেরকম আমরা কাজ করছি এবং আমরা ওদের থেকে অনেক এগিয়ে থাকব। তারপরও খেলায় হারজিত থাকবে। ভালো সময় খারাপ সময় থাকবে, এটাই মেনে নিতে হয়। আমরা সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি যাতে আমরা প্রমাণ করতে পারি, আমরা ওদের থেকে ভালো দল। শেষ কয়েক বছরে যে ক্রিকেট খেলেছি ওইভাবেই আমরা খেলার চেষ্টা করব।’
বাংলাদেশের কন্ডিশন আফগান বোলাররা কেমন করতে পারে এনিয়ে মিরাজ বলেন, ‘একটা জিনিস দেখেন, আমাদের বোলারদের কিন্তু অনেক অভিজ্ঞ আছে। বিশেষ করে সাকিব ভাই। ১৩-১৪ বছর ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছে। সফল খেলোয়াড়। তাইজুল ভাই একটা উইকেট পেলে একশ উইকেট হয়ে যাবে। আমারও ১৩-১৪টা টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। সবমিলে ওদের থেকে আমাদের অভিজ্ঞতা অনেক বেশি।’
চট্টগ্রাম আগামী ৫ সেপ্টেম্বর শুরু হবে বাংলাদেশ-আফগানিস্তানের মধ্যেকার একমাত্র টেস্ট ম্যাচটি।
Discussion about this post