ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে ছিল ১-১ সমতা! ম্যাচ যারা জিতবে সিরিজ তাদেরই। ঠিক এমনই এক দৃশ্যপটে চ্যালেঞ্জিং স্কোরই দাঁড় করিয়েছিল বাংলাদেশ হাই পারফরম্যান্স দল (এইচপি)। সাইফ হাসান তুলে নিয়েছিলেন শতরান। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। পাথুম নিশানকার ঝড়ো শতরানে ম্যাচ জিতল শ্রীলঙ্কা ইমার্জিং দল।
শনিবার তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচে এইচপি দলকে সহজেই হারিয়ে সিরিজ জিতল সফরকারীরাই। খুলনার শেখ আবু নাসের চৌধুরী স্টেডিয়ামে ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে ৭ উইকেটে জয় লাভ করে লঙ্কানরা। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচেআক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়ে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
শেষ ম্যাচে এই জয়ে ২-১ ব্যবধানে তিন ম্যাচের সিরিজ জিতেছে শ্রীলঙ্কা ইমার্জিং দল।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৬৯ রান করে শ্রীলঙ্কা। সাইফের ব্যাটে শতরান আর আফিফ হোসেন ফিফটি। জবাবে নেমে বৃষ্টির বাধায় শ্রীলঙ্কার সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৮ ওভারে ১৯৯। ২৪ বল বাকি লক্ষ্যে পৌঁছে যায় সফরকারীরা।
টস হেরে নেমে মোহাম্মদ নাঈমের উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বিসিবি এইচপি দল। সাইফের সঙ্গে ৭৪ রানের জুটি গড়ে বিদায় নেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। আগের ম্যাচের জয়ের নায়ক ইয়াসির আলী চৌধুরী ফিরেন দ্রুত। ২৫তম ওভারে ৯৫ রানে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া বাংলাদেশকে টানেন সাইফ ও আফিফ।
চতুর্থ উইকেটে ১২৫ রানের জুটি গড়েন তারা। সেঞ্চুরির পর বেশিদূর যেতে পারেননি সাইফ। ৭ ছক্কা ও ৪ চারে ১৩০ বলে করেন ১১৭। শেষটায় প্রত্যাশিত ঝড় তুলতে পারেনি বাংলাদেশ। ৭০ বলে অপরাজিত ৬৮ রানের ইনিংসে দলকে ২৬৯ পর্যন্ত নিয়ে যান আফিফ। ১৩ রান করেন ইয়াসিন।
এরপরই বৃষ্টিতে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে শ্রীলঙ্কার লক্ষ্যটা তেমন বড় ছিল না। ওপেনার নিসানকার সেঞ্চুরি ও মিনোদ ভানুকার ব্যাটে সহজেই এগিয়ে যায় তারা। ৩২ বলে ৫৫ রান করেন ভানুকা। ৭৮ বলে ১১৫ রানে অপরাজিত থেকে হাসিমুখে মাঠ ছাড়েন নিসানকা।
সিরিজসেরার পুরস্কার পেয়েছেন বাংলাদেশ দলের সাইফ হাসান। ম্যাচসেরা নিসানকা।
আগামী মঙ্গলবার খুলনাতেই শুরু হবে প্রথম চার দিনের ম্যাচ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ হাই পারফরম্যান্স দল: ৫০ ওভারে ২৬৯/৫ (সাইফ ১১৭, নাঈম ৬, শান্ত ৩৯, ইয়াসির ৯, আফিফ ৬৮*, জাকির ৭, ইয়াসিন ১৩*; ফার্নান্দো ১/৪৮, পেরেরা ২/৪৭, ড্যানিয়েল ০/৪৮, রমেশ মেন্ডিস ১/৪৪, হাসারাঙ্গা ১/৫৮, কামিন্দু মেন্ডিস ০/২১)
শ্রীলঙ্কা ইমার্জিং দল: (লক্ষ্য ২৮ ওভারে ১৯৯) ২৪ ওভারে ১৯৯/৩ (নিসানকা ১১৫*, বোয়াগোদা ১২, আসালঙ্কা ২, ভানুকা ৫৫, কামিন্দু মেন্ডিস ৫*; শফিকুল ০/৩৫, ইয়াসিন ১/২৯, নাঈম ০/৬০, রবিউল ১/৩৯, আমিনুল ১/৩২)
ফল: শ্রীলঙ্কা ইমার্জিং দল ৭ উইকেটে জয়ী
সিরিজ: তিন ম্যাচের সিরিজে শ্রীলঙ্কা ইমার্জিং দল ২-১ ব্যবধানে জয়ী
ম্যাচসেরা: পাথুম নিসানক
Discussion about this post