ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
দলের অভিবাবকই যদি ভুল পথে পা রাখেন তবে ঘরে কী আর শৃংখলা থাকে? তিনি শ্রীলঙ্কা সফরে বাংলাদেশ দলের ভারপ্রাপ্ত কোচ। টানা দুই হারে বিধ্বস্ত তার দল। সফরে দুই ওয়ানডেতেই ব্যাট-বলে ব্যর্থ ক্রিকেটাররা। সামনে যখন হোয়াইট ওয়াশের শঙ্কা, তখনই কীনা খালেদ মাহমুদ সুজন ভিন্ন কারণে আলোচনায়। আবার সাবেক এ অধিনায়ক গেলেন এক ক্যাসিনোতে।
রোববার সিরিজ হেরে যাওয়ার পর এক ক্যাসিনোতে দেখা গিয়েছিল কোচ খালেদ মাহমুদকে। ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে কলম্বোর বেলিস ক্যাসিনোতে দেখা যায় তাকে। ভিডিওতে দেখা যায়- নিজের এটিএম কার্ডটি দিচ্ছেন ক্যাসিনোর এক নারী ওয়েটারকে। ১১ সেকেন্ডের ভিডিওটির স্থানের সঙ্গে ‘বেলিস ক্যাসিনোর’ শতভাগ মিল খুঁজে পাওয়া গেছে।
সুজন স্বীকার করেছেন তিনি সেই ক্যাসিনোতে গেছেন। তবে রাতের খাবার খেতে নাকি গিয়েছিলেন সেখানে। বিস্ময়কর, এতো জায়গা থাকতে ডিনার সারতে তিনি ক্যাসিনোতে!
একাধিকবার বাংলাদেশ দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেছেন সুজন। এবার যে তিনি টাইগারদের কোচ। যে কারণে তার আচরণ দলের খেলার ওপর প্রভাব ফেলতেই পারে। তামিম ইকবাল অবশ্য দলের বাজে পারফরম্যান্সে কোচের ভূমিকা খুঁজে পাচ্ছেন না, ‘যখন আমরা ভালো খেলছি না তখন তার দায় কোচের ওপর দেওয়া ঠিক না। আমরা যখন ভালো করছি না তখন কোচকে দায় দেওয়ার মানে হয় না। আমার ধারণা কোচ তার সেরাটাই দিয়েছেন, আমাদের জন্য সেরা ফ্যাসিলিটিজের ব্যবস্থা করেছেন। সব খেলোয়াড়কে প্রস্তুত হওয়ার সবটুকু সুযোগই তিনি দিয়েছেন। সর্বোচ্চই দিয়েছেন, সম্ভাব্য সেরাটুকুই।’
অধিনায়ক তামিম আছেন সুজনের পাশে। ভারপ্রাপ্ত কোচ খালেদ মাহমুদকে দোষ দিতে চাইছেন না তিনি। বলেন, ‘এমন কিছু নয়। আমাদের বর্তমান যে কোচ আছেন তিনি আসলেই তাঁর সেরা চেষ্টা করেছেন। তিনি গতানুগতিকের বাইরেও অনেক কিছু করার চেষ্টা করেছেন। সাফল্য পেতে যা যা সম্ভব সবই করেছেন। তাকে দায় দেওয়া ঠিক হবে না। বরং যে এগারোজন আমরা মাঠে ছিলাম তারা নিজেদের কাজটা করতে পারিনি বলেই হেরেছি।’
যদিও জাতীয় দল নিয়ে ক্রিকেট খেলতে বিদেশ গিয়ে ক্যাসিনোতে যাওয়া সুজনের জন্য নতুন নয়। ২০১৫ সালে ক্যাসিনো বিতর্কে জড়িয়ে আলোচনায় আসেন তিনি। চার বছর আগে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের ম্যানেজারের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। পরে অবশ্য ক্যাসিনোতে যাওয়ার কথাও স্বীকার করছিলেন তিনি। কিন্তু জুয়া খেলার কথা অস্বীকার করেন। অথচ সেই বিশ্বকাপে অনুমতিহীন মাঝরাতে হোটেলে ফেরায় দল থেকে বাদ দেয়াই নয়, অস্ট্রেলিয়া থেকে ফেরত পাঠানো হয় পেসার আল-আমিন হোসেনকে। কিন্তু নিয়ম ভাঙলেও কিছুই হয়নি সুজনের!
প্রভাবশালী এই বোর্ড পরিচালক এবারও আত্মপক্ষ সমর্থনের সঙ্গে পেলেন অধিনায়কের সাফাই।
Discussion about this post