যেভাবে খেলছিলেন মনে হচ্ছিল ক্যারিয়ারের তৃতীয় টেস্টেই ডাবল সেঞ্চুরির দেখা পেয়ে যাবেন মমিনুল হক। কিন্তু ২০০ রানের সেই ম্যাজিকেল ফিগার থেকে যখন ১৯ রান দুরে তখনই ভুল করলেন। কোরি অ্যান্ডারসনের বলে এলবিডাব্লিউ হয়ে ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিটাকে ডাবল করার সুযোগ হাতছাড়া করলেন।। ১৮১ রানে ফিরে গেলেন মমিনুল। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ ১ম ইনিংসে তৃতীয় দিন শেষে সংগ্রহ করল ৭ উইকেট হারিয়ে ৩৮০ রান। এর আগে কিউইরা প্রথম ইনিংসে অলআউট হয়ে তুলে ৪৬৯ রান। বাংলাদেশ এখনো ১ম ইনিংসে ৮৯ রান পিছিয়ে।
শুক্রবার ছুটির দিনে চট্রগ্রামে দলকে পথ দেখাচ্ছিলেন মমিনুল-মুশফিকুর রহীম। কিন্তু দু’জন এক ওভার ব্যবধানে ধরেন সাজঘরের পথ। অবশ্য মাত্র ৮ রানে ২ উইকেট পড়ার পর মাঠে নেমে দলকে ৫ উইকেটে ৩০১ রানের মজবুত অবস্থানে রেখে যান মমিনুল।
ডাবল সেঞ্চুরি থেকে ১৯ রান দুরে থেকে আউট হয়ে যান তিনি। টেস্টে এটি বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের তৃতীয় সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংসটি অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের। গল টেস্টে তিনি করেন ২০০ রান। সেই টেস্টেই মোহাম্মদ আশরাফুলের ১৯০ রান দ্বিতীয় সেরা।
মমিনুলের ২৭৪ বলের ইনিংসে ২৭ টি চার। চট্টগ্রামে এটিই বাংলাদেশের কোন ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। আগেরটি ছিল মোহাম্মদ আশরাফুলের, ২০০৪ সালে ভারতের বিপক্ষে করেছিলেন অপরাজিত ১৫৮। দিন শেষে কিছুটা হতাশাও ছুঁয়ে গেল মমিনুলকে। বললেন, ‘ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি পেলাম। ভালো লাগছে। আনন্দ তো অবশ্যই হচ্ছে। কিন্তু ডাবল সেঞ্চুরির সুযোগটা এসেছিল। সেটা করতে পারলাম না। তাই হতাশাও আছে। জানি না এমন সুযোগ আর কখনও পাব কি না।’
এদিকে অন্যপ্রান্তে মুশফিক ফিরে যান ৬৭ রানে। এর আগে মার্শাল আইয়ুব ২৫ এবং সাকিব ফিরে যান ১৯ রানে। শেষ বিকেলে নাসির হোসেন আউট হন ৪৬ রানে। দিন শেষে অপরাজিত ছিলেন সোহাগ গাজী (২৮) এবং আব্দুর রাজ্জাক (১)।
আপাত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে ড্রয়ের পথে চট্রগ্রাম টেস্ট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
নিউজিল্যান্ড: ১ম ইনিংসে ৪৬৯/১০ (উইলিয়ামসন ১১৪, ওয়াটলিং ১০৩, ফুলটন ৭৩, বোল্ট ৫২*; রাজ্জাক ৩/১৪৭)
বাংলাদেশ: ১ম ইনিংসে ৩৮০/৭ (মার্শাল ২৫, মমিনুল ১৮১, সাকিব ১৯, মুশফিকর ৬৭, নাসির ৪৬, সোহাগ ২৮*, রাজ্জাক ১*; অ্যান্ডারসন ২/২৩, ব্রেসওয়েল ২/৭১)
×তৃতীয় দিন শেষে
http://youtu.be/Iq-2euYvnBs
Discussion about this post