ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
অভিমানের মেঘ কি জমেছিল মনে? এই প্রশ্নের উত্তরটাও মিলবে না। কেননা, বিদায় বেলায় বৃহস্পতিবার কোন কথাই যে বললেন না বাংলাদেশের সদ্য বরখাস্ত কোচ স্টিভ রোডস। টাইগার ক্রিকেট কোচের দ্বায়িত্ব ছাড়ার আগে শেষবারের মতো মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বিসিবির কার্যালয়ে গিয়েছিলেন তিনি। অনেকটাই বিষণ্ন আর গম্ভীর দেখাল তাকে। কথাও বললেন না গণমাধ্যমের সঙ্গে।
অবশ্য তার ধারণাতে ছিল না যে চাকরিটা চলে যেতে পারে। সেটা বুঝলে হয়তো ইংল্যান্টডেই বিসিবির কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা সরে নিতেন। বিশ্বকাপ মিশন শেষে মাশরাফিদের সঙ্গে ঢাকায় ফেরেন হেড কোচ। ভাবনায় ছিল চলতি মাসের শ্রীলঙ্কা সফর। কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কর্তারা তাকে হঠঅই বাদ দিলেন। যদিও চুক্তির মেয়াদ শেষ হতেও এক বছর বাকি। আসছে বছর টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত ইংল্যান্ডের এই কোচের সঙ্গে চুক্তি ছিল বিসিবির।
স্টিভেন রোডসের এই নীরব প্রস্থান নিয়ে বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজামউদ্দিন চৌধুরী গণমাধ্যমে বলেন, ‘এটি আসলে যাঁর যাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার। খুবই স্বাভাবিক যে একটি সম্পর্কের যখন ইতি ঘটে, তখন বিভিন্ন ধরনের ব্যাখ্যা হয়, তিনি হয়তো এসব ব্যক্তিগতভাবে এড়াতে চাইছেন। তাছাড়া এটা জানাতে পারি তিনি সম্ভবত আজ বাংলাদেশ থেকে চলে যাচ্ছেন। এটা একটা আনুষ্ঠানিকতা ছিল। কিছু আনুষঙ্গিক বিষয় ছিল, অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়া। সেগুলো আমরা শেষ করলাম।’
সমঝোতার ভিত্তিতেই স্টিভ রোডসের চুক্তি বাতিল হয়েছে বিসিবির। দুই পক্ষ কথা বলেন সমাধানে এসেছেন। যদিও এখনো হেড কোচ খুঁজে পায়নি দল। এমন কী খুঁজে পাওয়াটাও সহজ নয়। তারওপর সামনেই শ্রীলঙআকা সফর।
৮ টেস্টে ৩টিতে জয় পায় বাংলাদেশ। বাকি পাঁচটি ম্যাচেই হেরেছে সাকিব আল হাসানের দল। এক বছরে ৩০ ম্যাচের মধ্যে ১৭টি ম্যাচেই জয় পেয়েছে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। ১৩টি ম্যাচে হেরেছে দল। টি-টুয়েন্টিতে ৬ ম্যাচ খেলে তিনটিতে জয় আর তিনটিতে হার।
ইংল্যান্ডের হয়ে রোডস খেলেছেন ১১টি ওয়ানডে ও ৯টি টেস্ট। সাবেক এই এ উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান কাউন্টির দল উস্টারশায়ারের কোচ হিসেবেও কাজ করেছেন। জাতীয় দলে বাংলাদেশেই প্রথমবারের মতো কাজ করলেন ভদ্রলোক বলে পরিচিত রোডস।
Discussion about this post