ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
দ্বাদশ বিশ্বকাপের মূল লড়াই মাঠে গড়াতে বাকি আর ৪ দিন। যা সরাসরি দেখতে দেশ-বিদেশের ক্রিকেট প্রেমিরা উন্মুখ হয়ে বসে রয়েছেন। আর এজন্য তাদের দরকার টিকিট। শত চেষ্টা করেও যখন সোনার হরিণ নামের এ অমূল্য বস্তুটি হাতে পাচ্ছেন তারা তখনই দ্বারস্থ হচ্ছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) এজন্য অনেকে বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ধরনাও দিচ্ছেন। তাই অনেকটা বাধ্য হয়েই আইসিসির কাছ থেকে টিকিট কিনেছে বিসিবি।
ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের টিকিট কিনতে আগ্রহী বিসিবিও। এজন্য সংস্থাটি গুনতে রাজি ২ কোটি টাকা। এমনটাই জানিয়েছেন দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন, ‘স্টেকহোল্ডারদের কিছু টিকিট দিতে হবে। আমরা আইসিসির কাছ থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ টিকিট পাই। তবে তা দিয়ে চাহিদা মেটে না। সবার ইচ্ছা পূরণ করতে কিছু টিকিট কিনতে হচ্ছে। হাতে পাওয়ার পরই এ সংখ্যা জানানো হবে।’
এমনিতেই প্রতি ম্যাচের জন্য বিসিবি পাবে ১০০টি টিকিট। মূলত খেলোয়াড়দের জন্য এ টিকিট। তবে সেখান থেকে ক্রিকেটারদের জন্য ম্যাচপ্রতি ২টি করে টিকিট বরাদ্দ করেছে বিসিবি। বাকি ৭০টি টিকিট নিজেদের কাছে রেখে দেবে। ৯ ম্যাচে ৬৩০টি টিকিট থাকবে হাতে। এখান থেকে পরিচালকদের ম্যাচপ্রতি দেয়া হবে ২টি করে টিকিট। ২৫ জন পরিচালকের জন্য ৯ ম্যাচে বরাদ্দ থাকবে ৪৫০টি টিকিট। স্বাভাবিকভাবেই অবশিষ্ট ১৮০টি টিকিট দিয়ে বিশাল চাহিদা পূরণ সম্ভব নয়। তাই বাধ্য হয়েই টিকিট কিনতে হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিসিবি’র সিইও, ‘ঢাকার ক্লাব ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের চাহিদা মেটাতে টিকিট কিনতে হচ্ছে। পরিচালকরাও বোর্ডের কাছ থেকে তা কিনতে আগ্রহ দেখিয়েছেন। বিশেষ করে ঈদ সামনে থাকায় চাহিদা বেড়ে গেছে। তাই টিকিট কিনতে কয়েক কোটি টাকা গুনতে হচ্ছে।’
টিকিট কিনতে কত খরচ হবে, এ ব্যাপারে এখনও নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি নিজামুদ্দিন চৌধুরী, ‘টিকিট হাতে পাওয়ার পর টাকার অংক জানাতে পারবো। খুব বেশি খরচ হবে না। আমরা আইসিসির কাছে যে পরিমাণ টিকিট চেয়েছি তা নাও পাওয়া যেতে পারে। কারণ অন্য বোর্ডগুলোও টিকিট কিনবে।’
যে কোন দেশের ক্রিকেট বোর্ডকে ৩ কোটি টাকার সমপরিমাণ টিকিট চেয়ে ‘রিকুজিশন’ দেয়ার সুযোগ রেখেছে আইসিসি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিসিবি এক পরিচালক জানান, ৩ কোটি টাকা সমমূল্যেরই টিকিট চাওয়া হয়েছে। শেষ পর্যন্ত হয়তো ২ কোটি টাকার পাওয়া যাবে।
যে টিকিট কেনা হবে তার দশ ভাগ রাখবে বিসিবি এমনটাই জানিয়েছেন বিসিবি প্রেসিডেন্টের পিএস তৌহিদ মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘কেনা টিকিটের ১০ ভাগ রাখবে বিসিবি। সেগুলো রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় দেয়া হতে পারে। বাকি ৯০ ভাগ কেনে নেবেন বোর্ড পরিচালক ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। কেবল টাকা পরিশোধের পরই টিকিট দেয়া হবে।’
আইসিসির কাছ থেকে বিসিবি টিকিটি কিনলেও তা পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন স্টেকহোল্ডাররা। তারা মনে করছেন এ টিকিটের বেশিরভাগই চলে যাবে প্রভাবসালিদের হাতে।
Discussion about this post