ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
বিশ্বকাপ মিশনের আগে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ বাংলাদেশের সামনে। কঠিন দুই প্রতিপক্ষ-পাকিস্তান ও ভারত। এই দুই ম্যাচের অপেক্ষায় টাইগাররা। ২৬ মে কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেনে পাকিস্তানের সঙ্গে লড়াই। আইসিসির অফিসিয়াল প্রস্তুতি ম্যাচের জন্য দারুণভাবেই নিজেদের তৈরি করছে বাংলাদেশ দল। আয়ারল্যান্ডে ত্রি-দেশীয় টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতে বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা দিন কয়েকের ছুটি কাটাতে দেশে ফিরেছেন।
বৃহস্পতিবারের মধ্যে ইংল্যান্ডে থাকার কথা তার।তামিম ইকবালও কয়েকদিনের ছুটি দুবাইয়ে পরিবারের সঙ্গে কাটাচ্ছেন। বিশ্বকাপ দলের বাকি ১৩ জন সদস্য এখন ইংল্যান্ডের লেস্টারে। সেখানকার গ্রেস রোডে চলছে দলের প্রস্তুতি।
২৮ মে’র শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশ মুখোমুখি হবে ভারতের। দুটি ম্যাচই হবে কার্ডিফে। ইংল্যান্ডের যে শহরের সঙ্গে বাংলাদেশ ক্রিকেটে অনেক সুখস্মৃতি জড়িয়ে আছে। এই দুই ম্যাচের অপেক্ষায় এখন টাইগাররা।
৩০ মে দ্বাদশ বিশ্বকাপের পর্দা উঠবে। কিন্তু এ টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের পথচলা শুরু হবে আগামী ২ জুন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। তার আগে নিজেদের প্রস্তুত করতে টাইগাররা পাচ্ছে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ। যার প্রথমটিতে আগামী ২৬ মে পাকিস্তানের বিপক্ষে লড়বে টাইগাররা।
বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের অবিস্মরীয় স্মৃতি রয়েছে এ ইংল্যান্ডেই। ১৯৯৯ সালে ৩১ মার্চ নর্দাম্পটনশায়ারে পাকিস্তানকে ৬২ রানে হারিয়ে পুরো বিশ্বকে চমকে দিয়েছিল টিম টাইগার্স। শুধু তাই-ই নয় ঐ বিজয়ের মধ্যে দিয়ে লাল-সবুজের ক্রিকেট পৌঁছে গিয়েছিল অনন্য উচ্চতায়। সেই সিড়ি ধরেই আজ মাশরাফির দল বিশ্ব ক্রিকেটে বড় একটা জায়গা দখল করে নিয়েছে।
টাইগারদের বিপক্ষে সার্বিক পরিসংখ্যানে মুখোমুখি লড়াইয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে পাকিস্তান অনেক এগিয়ে। তবে সাম্প্রতিক পারফরমেন্সে পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে টাইগাররা। দুই দলের সবশেষ চার দেখায় চারবারই জিতেছে মাশরাফিরা। সর্বশেষ ওয়ানডে সিরিজে তো পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা দিয়েছিল স্টিভ রোডসের শিষ্যরা।
Discussion about this post