ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
একেই বলে রাজকীয় প্রত্যার্বতন। আগের ম্যাচে আয়ারল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে দুঃস্বপ্নের মতো এক হার। আইরিশ আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে না পারার খেসারতও দেয় টাইগাররা। তবে আসল লড়াইয়ে ঠিকই বাজিমাত মাশরাফি বিন মর্তুজার দলের। একসঙ্গে ঝলসে উঠলেন টাইগাররা। তারই পথ ধরে আগের ম্যাচে রেকর্ড গড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দল পেলো অনায়াস জয়।
মাশরাফি বিন মর্তুজা, সাকিব আল হাসান প্রত্যেকেই উজাড় করে দিলেন নিজেকে। ব্যাট হাতে তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকারের রেকর্ড জুটির পথ ধরে বাংলাদেশ পেয়েছে হেসে-খেলে জয়। ত্রিদেশীয় সিরিজে জয়ে শুরু হলো বাংলাদেশের।ওয়েস্ট ইন্ডিজকে মাশরাফির দল হারিয়েছে ৮ উইকেটে।
মঙ্গলবার ডাবলিনের ক্লনটার্ফ ক্রিকেট মাঠে শুরুতে উইন্ডিজকে ২৬১ রানে আটকে রাখে বাংলাদেশ। এরপর ম্যাচ জিতে নেয় ২ উইকেট হারিয়ে ৩০ বল হাতে রেখেই। দারুণ এক আত্মবিশ্বাস জাগানো জয় লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের।
বোলিংয়ে দলকে লড়াইয়ে রাখেন মাশরাফি-সাকিব। আগের ম্যাচে বিশ্বরেকর্ড গড়া জুটির একজন জন ক্যাম্পবেল এই ম্যাচে খেলতে পারেন নি। পিঠের সমস্যায় খেলতে পারেন নি তিনি। হোপের সঙ্গে ইনিংস শুরু করেন সুনিল আমব্রিস।
হোপ ছিলেন আগের মতোই ছন্দে। বাংলাদেশ সফরে শেষ দুই ওয়ানডেতে করেন অপরাজিত ১৪৬ ও অপরাজিত ১০৮। এবারের ত্রিদেশীয় সিরিজে আয়ারল্যান্ডে বিপক্ষে তার ব্যাটে ১৭০ রান। মঙ্গলবারও সেই পুরনো দাপট।
ম্যাচে উইন্ডিজের ৮৯ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। ৩৮ রানে আউট আমব্রিস। ড্যারেন ব্রাভোকে আউট করেন সাকিব। অবশ্য ৫৩ রানে মিরাজের বলে আউট হতে হতে বেঁচে যান হোপ। সম্যাচে ১২৬ বলে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ওয়ানডে সেঞ্চুরি করেন হোপ। এদিনই স্পর্শ করেন ৪৭ ইনিংসে ২ হাজার রান। ৫১ রানে চেইসকে ফেরান মাশরাফি। এরপর সেঞ্চুরিয়ান হোপ ও জেসন হোল্ডারকেও আউট করেন তিনি।
জবাবে নেমে তামিম ইকবালের সঙ্গে শতরানের জুটি গড়েন সৌম্য সরকার। তামিমের সঙ্গে পঞ্চম শতরানের জুটি উপহার দেন সৌম্য। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি পাঁচটি শতরানের জুটি ছিল তামিম ও মুশফিকের। তামিম-সৌম্য জুটিতেও শতরান হয়ে গেল পাঁচবার।
৮০ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন তামিম। সৌম্য ফেরেন ৭৩ রানে। বাকিটা সহজে সারেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান সাকিব আল হাসান (৬১) ও মুশফিকুর রহীম (৩২)।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৫০ ওভারে ২৬১/৯ (হোপ ১০৯, আমব্রিস ৩৮, ব্রাভো ১, চেইস ৫১, কার্টার ১১, হোল্ডার ৪, ডাওরিচ ৬, নার্স ১৯, রোচ ১, কটরেল ৪*, গ্যাব্রিয়েল ০; সাইফ ২/৪৭, মাশরাফি ৩/৪৯, মুস্তাফিজ ২/৮৪, সাকিব ১/৩৩, মিরাজ ১/৩৮)
বাংলাদেশ: ৪৫ ওভারে ২৬৪/২ (তামিম ৮০, সৌম্য ৭৩, সাকিব ৬১*, মুশফিক ৩২*; কটরেল ০/৪৭, রোচ ০/৩০, গ্যাব্রিয়েল ১/৫৮, হোল্ডার ০/২৭, নার্স ০/৪৬, চেইস ১/৫১)
ফল: বাংলাদেশ ৮ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরা: সাই হোপ
Discussion about this post