ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
বিশ্বকাপের আগে ঘরের মাঠে শেষ প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচেই কথা বললো সৌম্য সরকারের ব্যাট। রানের সন্ধানে ছিলেন অনেক দিন ধরেই। আগের ম্যাচেই ফেরেন চেনা পথে। গত রোববার প্রিমিয়ার লিগে সেঞ্চুরি বুঝিয়ে দেন বিশ্বকাপে ঝড় তুলতে প্রস্তুত। মঙ্গলবার আবাহনী লিমিটেডের এ ওপেনার লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে করেন ডাবল সেঞ্চুরি। গড়েন নতুন ইতিহাস।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আবাহনী লিমিটেডের হয়ে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের বিপক্ষে ১৫৩ বলে অপরাজিত ২০৮ রান তুলেন সৌম্য। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এর আগের সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল রকিবুল হাসেনের ১৯০ রান। ২০১৭ সালে মোহামেডানের হয়ে এই কীর্তি গড়েন তিনি।
লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ডাবল সেঞ্চুরির আগে ১৬টি ছক্কা হাঁকিয়ে আরেকটি রেকর্ড গড়েন সৌম্য। চলতি টুর্নামেন্টেই প্রাইম দোলেশ্বরের সাইফ হাসান হাঁকিয়েছিলেন এক ইনিংসে ১১টি ছয়। তার আগে ১১ ছক্কার রেকর্ড ছিল সৌম্যর নিজের ও মাশরাফি বিন মুর্তজারও।
সৌম্যর দাপটে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে ৯ উইকেটে হারিয়ে ফের ডিপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আবাহনী। মঙ্গলবার বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে ৩১৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৭ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে নোঙর করে আবাহনী।
৩১৮ রান তাড়া করতে নেমে দারুণ সূচনা করেন সৌম্য ও জহুরুল। উদ্বোধনী জুটিতেই দুজন করেন ৩১২ রান। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে যে কোনো উইকেটেই বাংলাদেশের সফলতম জুটি এটি। উদ্বোধনী জুটিতে আগের রেকর্ড ছিল গত বছর আবাহনীর হয়েই এনামুল হক ও নাজমুল হোসেন শান্তর ২৩৬ রান।
এর আগে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে ৭১ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন সৌম্য।এদিন হাফসেঞ্চুরিতে পৌঁছাতে তার লাগে মাত্র ৫২ বল। ৭৮ বলে সেঞ্চুরিতে পৌঁছে যান। ১০৪ বলে দেড়শ আর ১৪৯ বলে ডাবল সেঞ্চুরির দেখা পেয়ে যান আবাহনীর এ ওপেনার। ২০১২ সালে কুয়ালালামপুরে এসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে কুয়েতের বিপক্ষে ১৩৫ বলে ২০৯ করেন সৌম্য।
Discussion about this post