ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
২০১৪ সালের ২৭ ডিসেম্বর সবশেষ খেলেছিলেন ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে। ফের দেখা গেলো ঘরোয়া ক্রিকেটের এই আসরে। প্রত্যাবর্তনেই ঝড় তুললেন দ্য ফিজ। চিরচেনা রূপে ধরা দিলেন এই তারকা। শেষপর্যন্ত অবশ্য জেতাতে পারলেন না দলকে। বৃষ্টির কারণে দীর্ঘক্ষণ বন্ধ থাকার পর ডার্কওয়াথ লুইস পদ্ধতিতে ২১ রানে গাজী গ্রুপের বিপক্ষে হেরে যায় মুস্তাফিজের শাইনপুকুর কিকেট ক্লাব।
সোমবার মিরপুরে টস হেরে আগে ব্যাটিং করে ১৭৭ রান করে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব। মাত্র ১৭৮ রানের লক্ষ্যটাও নিজের ভেলকিতে গাজী গ্রুপের জন্য কঠিন করে তুলেন মুস্তাফিজ।
এই তারকা পেসার ইনিংসের প্রথম ওভারেই জোড়া আঘাত হানেন। গাজী গ্রুপের ইনিংসের দ্বিতীয় বলে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন ওয়ালিউল করিমকে। একই ওভারেই শেষ বলেই আফিফ হোসেন ধ্রুবর হাতে ক্যাচ তুলে দেন গাজী গ্রুপের অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। প্রথম ওভারে ৬ রানে মুস্তাফিজ শিকার করেন ২ উইকেট।
দ্বিতীয় ওভার থেকে কোনো রানই নিতে পারেননি চারে নামা শামসুর রহমান। তবে মাত্র ৬ রানে দুই উইকেট হারানোর পর আরেক ওপেনার মেহেদি হাসানকে নিয়ে ৪৬ রানের জুটি গড়েন। এই জুটিও ভাঙেন মুস্তাফিজ।
৫২ রানের মাথায় ৩ উইকেট হারানোর পর শামসুর রহমান ও রনি তালুকদার ভালো এগিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু দেলোয়ার হোসেনের থ্রোতে রানআউট হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন রনি। পরের ব্যাটসম্যান কামরান গুলামের সাথে পার্টনারশিপ গড়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি।
৪ উইকেটে ১০৬ রান, ঠিক তখনই বৃষ্টি শুরু হয়। এরপর আম্পায়াররা কিছু সময় নেন, কিন্তু ম্যাচ আর শুরু করা সম্ভব হয়নি। এরপর অবশ্য বেশি রান বাকি ছিলো না। অথচ আতঙ্ক ছিলো। কারন মুস্তাফিজের নির্ধারিত স্পেলের তথনও ১৯টি বল বাকি। যেকোন সময় ম্যাচের মোড় হয়তো ঘুরে যেতে পারতো।
২০১৪ সালের নভেম্বরে আবাহনী লিমিটেডের হয়ে প্রিমিয়ার লিগে অভিষেক হয়েছিল মুস্তাফিজের। কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের বিপক্ষে নিজের অভিষেক ম্যাচেই নেন ৩২ রানে ৫ উইকেট।
এবার ২৫ লাখ টাকার ‘এ’ প্লাস ক্যাটাগরিতে থাকা মুস্তাফিজকে ড্রাফট থেকে দলে টানে শাইনপুকুর।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব: ৪৮ ওভারে ১৭৭/৯ (চাঁদ ১৩, সাব্বির ২৪, সাদমান ৪০, হৃদয় ৮, অমিত ৭, আফিফ ০, শুভাগত ২, শুভ ৩০, দেলোয়ার ৪০*, মুস্তাফিজ ৩, টিপু ৪*; আবু হায়দার ১/৫৪, রাব্বি ১/৩৬, মেহেদি ০/২১, নাসুম ২/৩৩, সঞ্জিত ৪/২৫, তারেক ০/৭)
গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স: (লক্ষ্য ২১.৫ ওভারে ৮৬) ২১.৫ ওভারে ১০৬/৪ (ওয়ালিউল ০, মেহেদি ১৩, ইমরুল ৫, শামসুর ৫৩*, রনি ১৬, কামরান ১৩*; মুস্তাফিজ ৩/২৩, টিপু ০/২৩, শুভাগত ০/১৩, দেলোয়ার ০/১৩, শুভ ০/২৭, সাব্বির ০/৬)
ফল: ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স ২১ রানে জয়ী
ম্যাচসেরা: সঞ্জিত সাহা
Discussion about this post