লড়াই গাজী ট্যাংক বনাম মোহামেডান।
ম্যাচে প্রতিপক্ষের নাম এটাই। তবে আসল লড়াইয়ে মোহামেডানের সঙ্গে এ ম্যাচে তো প্রতিপক্ষ একজনই ছিলেন-লুৎফর রহমান বাদল!
ক্লাব পলিটিক্সের রোষানলে বছরখানেক আগে মোহামেডান ছেড়ে আসা বাদল এবারের লিগে গাজী ট্যাংক ক্রিকেটার্সের স্বত্বাধিকারী। মোহামেডান অন্তঃপ্রাণ হলে বর্তমান পরিস্থিতিতে অন্তত মাঠের লড়াইয়ে মোহামেডানকে হারাতে প্রতিজ্ঞ লুৎফর রহমান বাদল। বুধবার বগুড়ার এ ম্যাচে তিনি মাঠে ছিলেন না। কিন্তু বিদেশ থেকে প্রতি ওভার শেষে ঠিকই টেলিফোনে স্কোর জানছিলেন। মোহামেডানের সঙ্গে ‘ব্যক্তিগত’ এ লড়াইয়ে এবারের মৌসুমে জিতল বাদলের দল গাজী ট্যাংক ক্রিকেটার্স ১০৩ রানের বিশাল ব্যবধানে। ছয় ম্যাচে এটি গাজীর চতুর্থ জয়।
এ বড় ব্যবধানই জানাচ্ছে বগুড়ার ম্যাচটি জমেনি মোটেও। টস জিতে গাজী ট্যাংক ক্রিকেটার্সকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় মোহামেডান। শুরুটা ভালো হয়নি গাজী ট্যাংকের। ৪৩ রানে শুরুর ৩ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। ফর্মে থাকা সাবেক কিউই অলরাউন্ডার স্কট স্টাইরিসও বিদায় নিলেন ৩০ রান করে। তবে পঞ্চম উইকেট জুটিতে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ও রকিবুল হাসানের ব্যাটিং গাজী ট্যাংকে বড় স্কোরের পথ দেখায়। এ দু’জনের জুটিতে রান আসে ৯৪। মাহমুদউল্লাহ খেলেন অধিনায়কোচিত ইনিংস। ৭৮ বলে ১ ছক্কা ও ৫ বাউন্ডারিতে করেন ৬৮ রান। ছয় নম্বরে ব্যাট করতে নেমে রকিবুল হাসান চলতি লিগে নিজের সেরা ইনিংস খেলেন এ ম্যাচে। ৬৫ বলে ৭৫ রানের অনবদ্য ইনিংস আসে তার ব্যাট থেকে। ৬ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় রকিবুল দলের স্কোরকে দুইশ’র ওপর নিয়ে যান। ইংল্যান্ড থেকে উড়ে আসা গাজী ট্যাংকের নতুন স্পিন অলরাউন্ডার আসহার জায়েদি অপরাজিত ছিলেন ১৭ রানে। ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৪৮ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে গাজী ট্যাংক। মোহামেডানের বোলিংয়ে সাফল্য দেখান শ্রীলঙ্কার স্পিনার অজন্তা মেন্ডিস ৪ ও মাশরাফি ২ উইকেট নিয়ে।
জবাবি ইনিংসে মোহামেডান ম্যাচের কোনো সময়ই ম্যাচ জয়ের স্বপ্ন জাগাতে পারেনি। ওপেনার ইজাজ আহমেদের ৪২ এবং মিডল অর্ডারে উপুল থারাঙ্গার ৫৬ রান ছাড়া দলের বাকি সব ব্যাটসম্যান ব্যর্থ। ১০৩ রানে হারা ম্যাচে ব্যাটসম্যানদের সাফল্য খোঁজার উপায় কি? গাজীর স্পিনার আসহার জায়েদি ঢাকা লিগে নিজের অভিষেকটা স্মরণীয় করে রাখলেন ৩০ রানে ৩ উইকেট নিয়ে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
গাজী ট্যাংক ক্রিকেটার্স : ২৪৮/৯, ৫০ ওভার (উসমান ১৩, ইমরুল ১৬, স্টাইরিস ৩০, মাহমুদউল্লাহ ৬৮, রকিবুল ৭৫, আসহার ১৭*; মেন্ডিস ৪/৫৭, মাশরাফি ২/৩৪)।
মোহামেডান : ১৪৫/১০, ৩৮.৪ ওভার (ইজাজ ৪২, থারাঙ্গা ৫৬, রাজিন ১৩; জায়েদি ৩/৩০, মাহমুদউল্লাহ ২/২৭)।
ফল : গাজী ট্যাংক ১০৩ রানে জয়ী। ম্যাচসেরা : রকিবুল হাসান।
Discussion about this post