ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
ঢাকা টেস্টে রোববার শুরুতেই চাপে পড়েছিল বাংলাদেশ। এরপর দলকে পথ দেখিয়েছেন মুমিনুল হক আর মুশফিকুর রহীম। তাদের শতরানেই দিনটা টাইগারদের হল। দিন শেষে মুশফিকের প্রশংসায় মাতলেন মুমিনুল। তিনি বলেন, ‘বেঁচে থাক, এই উইকেটে এমন কঠিন সময়ে বেঁচে থাকাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’ এক পর্যায়ে ১২.১ ওভারে বাংলাদেশের রান ছিল ৩ উইকেটে ২৬।
তারপর তারা খেলেন মনে রাখার মতো ইনিংস। ৯ রানে জীবন পেয়ে তা কাজে লাগান মুমিনুল। শেষ পর্যন্ত ১৬১ রানে ফিরেন সাজঘরে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে যে কোনো জুটিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ২৬৬ রানের জুটি। মুশফিকের পরামর্শে ব্যাটিং অনেক সহজ হয় তার। মুমিনুল বলেন, ‘উনি আমাকে এত পরামর্শ দিয়েছেন যেগুলো আমার ব্যাটিংয়ে খুব কাজে এসেছে। সত্যি বলতে, আমার এই সেঞ্চুরির অর্ধেক কৃতিত্ব তারই। উনি যখন ক্রিজে আসেন তখন কিন্তু আমরা রান করতে পারছিলাম না। ওরা খুব আঁটসাঁট বোলিং করছিল। উনি আসার পর যেন সবকিছু কিছুটা সহজ হয়ে গেল। আমার ক্ষেত্রে মুশফিক ভাই খুব সাহায্য করেছেন। পুরো ইনিংসে তিনি আমাকে ভালো গাইড করেছেন।’
মুমফিক বন্দনায় মুমিনুল আরো বলেন, ‘আমি মাঠে অনুভব করেছি, কেন তিনি বাংলাদেশের সেরা পাঁচ ক্রিকেটারের একজন। ব্যাটিং করার সময় তার পরিস্থিতি বোঝার ব্যাপারটা আমাকে খুব নাড়া দিয়েছে। উনার কিছু কিছু পরামর্শ খুব ভালো ছিল যা আমাকে ব্যাটিংয়ের সময় অনেক সাহায্য করেছে। উনার এই সাহায্য আমার ইনিংসে খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’
সেঞ্চুরির পর সেলিব্রেশন করতে দেখা গেল তাকে। এনিয়ে রোববার মুমিনুল বলেন, ‘এক সময় আমরা কঠিন পরিস্থিতিতে ছিলাম, তারপরও একশো করার পর যখন চাপ থেকে বের হয়ে গেলাম। আর একশো করা একটা আবেগ কাজ করে। একশো করার পর আমার ভেতরও কাজ করছিল কীভাবে কি করব। খুব আবেগ কাজ করছে। আমি এই সেঞ্চুরিতে অনেক শিখতে পেরেছি।’
Discussion about this post