ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
চিকিৎসা প্রথম ধাপ হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে গেলেন সাকিব আল হাসান। তবে শঙ্কার কথা শুনিয়েই দেশ ছেড়েছেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। টেস্ট ও টি-টুয়েন্টি অধিনায়ক বলে গেছেন-আর কখনই শতভাগ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে না তার চোটগ্রস্ত আঙুল।
তার এমন কথার পর থেকেই সবাই বলতে শুরু করেছেন তাহলে কেন সাকিবকে দিয়ে খেলানো হল এশিয়া কাপ। কেনই বা বাড়তি ঝুঁকিতে ফেলা হল তাকে। অবশ্য ৯ মাস ধরে ইনজুরির সঙ্গেই বসবাস সাকিবের। তবে আগস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের শেষ দিকে সেটা আরো জোরালো হয়। তখন ব্যথানাশক নিয়েই মাঠে নেমেছিলেন তিনি।
সিদ্ধান্ত হয়েছিল- দেশ ফিরে দ্রুত অস্ত্রোপচারের টেবিলে যাবেন। কিন্তু হঠাৎ করেই তার চিন্তার বাঁক বদলে দেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। টাইগার অলরাউন্ডারকে তিনি অনুরোধ করেন, এশিয়া কাপ খেলে ছুরি কাঁচির নিচে যেতে। শেষ পর্যন্ত ঝুঁকি নিয়েই দুবাইয়ে যান সাকিব।
তবে এশিয়া কাপের শুরু হতেই আঙুলের চোটে খুব একটা স্বস্তি পাচ্ছিলেন না তিনি। এরমধ্যে সুপার ফোরের দ্বিতীয় ম্যাচে চোটাগ্রস্থ আঙুলে আবার ব্যথা পান সাকিব। তারপর দেশেই ফিরতে আসতে হয় তাকে।
দেশে ফিরে অস্ত্রোপচারের জন্য দ্রুত অস্ত্রোপচার করার কথা ছিল তার। কিন্তু কিছুদিন আগেই তার হাতের অবস্থার আরও অবনতি হয়। দ্রুত রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানেই ছোট একটা অস্ত্রোপচার করেন তিনি।
বড় বিপদের হাত থেকে রক্ষা পান বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। তবে পুরোপুরি সুস্থ হতে তার আরও একটি অস্ত্রোপচার করতে হবে বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। সেটা হবে দেশের বাইরে ২-৩ সপ্তাহ পর। এর অংশ হিসেবে শল্যবিদ গ্রেগ হয়কে চোট পাওয়া বাঁ হাতটা দেখাবেন এবং অস্ত্রোপচার নিয়ে আলোচনা করবেন।
দেশ ছাড়ার আগে সাকিব বলেন, ‘এই আঙুলটা আর কখনো শতভাগ ঠিক হবে না। যেহেতু নরম হাড্ডি, আর কখনো জোড়া লাগার সম্ভাবনা নেই। পুরোপুরি ঠিক হবে না। সার্জারি করে ওরা এমন একটা অবস্থায় এনে দেবে হাতটা, আমি ব্যাট ভালোভাবে ধরতে পারব, ক্রিকেট খেলাটা চালিয়ে যেতে পারব। ইনফেকশনটা (সংক্রমণ) আমার সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তার জায়গা।’
তবে বিসিবির চিকিৎসক ডা. দেবাশীষ চৌধুরী জানান, ‘আমরা বিশ্বাস করি ইনফেকশন ভাল হবার পর সাকিবের সমস্যা থাকবে না। সাকিব আবার মাঠে ফিরে আসতে পারবেন এবং স্বচ্ছন্দে ব্যাটিং ও বোলিং করতেও পারবেন। সাকিবের আঙুল আর কখনো ভাল হবে না, এটা ঠিক না।’
Discussion about this post