ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
বড় মঞ্চে এসে নিজেকে চেনালেন লিটন দাস। ক্যারিয়ারের দশম ওয়ানডেতে তিনি পেলেন প্রথম শতরান। অসাধারন ব্যাটিংয়ের পসরা সাজালেন শুক্রবার দুবাইয়ে ভারতের বিপক্ষে। এশিয়া কাপের ফাইনালে তার ১২১ রানের আলো ঝলমলে ইনিংসটার মৃত্যু হয় আম্পায়ারের বিতর্কিত এক সিদ্ধান্তে।
টেলিভিশন সেটের সামনে বসে একাধিকবার রিপ্লে দেখেও দৃষ্টিকটু এক সিদ্ধান্ত নেন থার্ড আম্পায়ার রড টাকার। অস্ট্রেলিয়ান এই আম্পায়ার আউট দৃষ্টকটুভাবে সেঞ্চুরিয়ান লিটন দাসকে। তার এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে চলছে সমালোচনা। উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়া। প্রশ্ন উঠেছে এটা কি আদৌ আউট ছিল?
উত্তর খোঁজার আগে চলুন ঘটনা বুঝে নেই। এটি ম্যাচের ৪১তম ওভারের ঘটনা। ভারতীয় বোলার যুবেন্দ্র চাহালের শেষ বলটি খেলতে গিয়ে মিস করেছিলেন লিটন। স্ট্যাম্প ভাঙ্গতে দেরি করেন নি উইকেট কিপার মহেন্দ্র সিং ধোনি। আউটের আবেদন উঠে। তারপরই থার্ড আম্পায়ার কল করেন ফিল্ড আম্পায়ার।
এটা আ্টু কীনা বুঝতে বেশ বেগই পাচ্ছিলেন টিভি আম্পায়ার রড টাকার। একাধিকবার নানাভাবে রিপ্লেতে আউটটি দেখেন তিনি। দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। রিপ্লেতে দেখা যাচ্ছিল- ধোনি স্ট্যাম্প ভাঙার আগেই পা লাইন স্পর্শ করেছেন লিটন দাস। প্রথমবারের মতো এবারের এশিয়া কাপে ম্যাগনেটিক গ্লাস দিয়ে বুঝতে চেষ্টা করেন টাকার।
স্ট্যাম্প ক্যামেরার সাহায্যও নেন। ক্রিকেট আইনে- বেনিফিট অব ডাউট ব্যাটসম্যানের দিকেই যায়। ধারা ভাষ্যকাররাও বারবারই এই কথাটা বলছিলেন।
তারপরও রড টাকার বেনিফিট বোলারকেই দেন। প্রায় তিন মিনিট পর সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়। ব্যাটসম্যান ‘বেনিফিট অব ডাউট’ পেতে পারতেন কিনা এই প্রশ্ন উঠেছে। চলছে ফেসবুকে আম্পায়ার ও আইসিসি আর এসিসির সমালোচনা।
এশিয়া কাপের ফাইনালে বাংলাদেশ প্রথমে ব্যাট করতে নেমে তুলেছে ২২২ রান।
Discussion about this post