ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
ভারতের জন্য নতুন করে খেলার বাইলজ পাল্টাল এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)! এশিয়া কাপে তাদের এমন অনিয়মের খেসারত গুনতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটা জিতলেও বৃহস্পতিবার গ্রুপ রানার্স আপই থাকবে মাশরাফির দল। গ্রুপের শেষ ম্যাচা গুরুত্বহীন করে তার আগেই গ্রুপের এক, দুই নম্বর দল ঠিক করে নতুন সূচি দিয়েছে এসিসি! বিস্ময়কর হলেও ঘটনা সত্য!
এসিসির এমন কাণ্ডে বড় ক্ষতি হচ্ছে টাইগারদের। তাইতো খুবই ক্ষুদ্ধ মাশরাফি বিন মর্তুজা। বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত অবশ্যই হতাশার। প্রথম থেকেই আমাদের পরিকল্পনায় ছিল যে আমরা যদি শ্রীলঙ্কাকে প্রথম ম্যাচে হারাতে পারি হয়ত গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে এগিয়ে যাব। তারপর গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হলে গ্রুপ ‘এ’ রানার্স আপ দলের সঙ্গে সুপার ফোরে প্রথম ম্যাচ খেলবো। কিন্তু বুধবার সকাল থেকে জানতে পারছি, আফগানিস্তানের বিপক্ষে জিতি আর হারি, আমরা ‘বি ২’ হয়ে গেছি। এটা অবশ্যই হতাশার এক খবর।’
এশিয়ান ক্রিকেটের সর্বােচ্চ সংস্থা এসিসি ভারতকে সুবিধা দিতেই নিয়ম পাল্টাল। নতুন সূচিতে ভারত সব ম্যাচ খেলতে পারছে দুবাইয়ে। এটাই চেয়েছিল তারা। তাদের ইচ্ছেকে মূল্য দিয়ে গ্রুপের শেষ ম্যাচটাকে গুরুত্বহীন করে দিল তারা। এনিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
শুরুর সূচিতে ‘এ’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হলেই সব ম্যাচ দুবাইতে খেলার সুযোগ পেত রোহিত শর্মার দল। এখন বুধবার পাকিস্তানের কাছে হারলেও তাদের গ্রুপের এ-১ ধরে খেলা রাখা হয়েছে দুবাইতে। বাংলাদেশকে বি-২ ধরে করা হল সূচি। বি-২ এর আগের সূচি অনুযায়ী সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচ দুবাইতে। পরের দুই ম্যাচ ২৩ আর ২৬ সেপ্টেম্বর আবুধাবিতে বি-২ হিসেবে খেলবে বাংলাদেশ।
মাশরাফি পুরো ব্যাপারটায় হতাশ। বাংলাদেশ ক্যাপ্টেন বলেন, ‘আফগানিস্তানের সঙ্গে ম্যাচটি অবশ্যই আন্তর্জাতিক ম্যাচের মূল্য আছে। কিন্তু গ্রুপ ম্যাচ বলেন বা যাই বলেন, একটা নিয়ম থাকে টুর্নামেন্টের। সেই নিয়মের বাইরে চলে যাচ্ছি আমরা। এটাই হতাশার।’
২০ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তানের বিপক্ষে দিবা-রাত্রির ম্যাচটিতে খেলতে আবুধাবি যাবে বাংলাদেশ দল। খেলা শেষে দ্রুত হোটেলে ফিরতে মাঝরাতেই আবুধাবী আসতে হবে। কিংবা পররের দিন সকালে। কারণ সেদিনই সুপার ফোরের ম্যাচে প্রতিপক্ষ ভারত। মাশরাফি বলেন, ‘২০ তারিখে ম্যাচ এরপর সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচটা পরের দিন। আমাদের ১০ ঘণ্টাও রিকোভারির টাইম থাকছে না। ভাবছিলাম-গ্রুপ পর্বে চ্যাম্পিয়ন হলে দেখা যাক কোন প্রতিপক্ষকে পাই। এই হিসাব-নিকাশের কোন সুযোগ নাই। খারাপ জিনিসটাই আমাদের দিকে এসেছে। আসলে এই সিদ্ধান্তটা মানসিকভাবে কতটা প্রভাব ফেলছে এটা নিয়েই আমাদের কাজ করতে হবে।’
টুর্নামেন্টটা তাড়াহুড়ো করে আয়োজন করা হচ্ছে বলে মনে করেন মাশরাফি। বলেন, ‘দ্বিতীয় পর্ব যেভাবে হচ্ছে, বলতেই হবে তাড়াহুড়ো। ২১ তারিখে এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ, তার আগের রাতে গ্রুপ পর্যায়ের ম্যাচ খেলতে হবে। সুপার ফোরে প্রথম ম্যাচটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সেই ম্যাচে আমরা সবাই শারীরিকভাবে শতভাগ থাকতে না পারলে কাজটা কঠিন হয়ে যায়।’
Discussion about this post