ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
ফ্রান্স ২ : উরুগুয়ে ০
লড়াইটা ঠিক জমল না। অনেকটা একপেশে ভাবেই কোয়ার্টার ফাইনালে উরুগুয়েকে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠে গেল ফ্রান্স। শুক্রবার ২-০ গোলের জয় নিয়ে স্বপ্নপূরণের আরো কাছাকাছি পৌঁছে গেল ১৯৯৮ সালের চ্যাম্পিয়নরা। নিঝনি নভগোরোদ স্টেডিয়ামে ম্যাচটিতে ফরাসিদের জয়ের নায়ক অ্যান্তোনিও গ্রিজম্যান। ম্যাচে সতীর্থকে একটি গোলের উৎস তৈরি করে দিয়েছেন তিনি। আর নিজে করেছেন আরেকটি গোল। ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত তার ঝলকেই উজ্বল হয়ে থাকল।
যেমনটা আগের ম্যাচে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে করে দেখিয়েছিলেন কিলিয়ান এমবাপে। এখানে তাকে অনেকটাই আটকে রাখে উরুগুয়ের রক্ষণভাগের ফুটবলাররা। এরইমধ্যে খেলার ৪০ মিনিটে প্রথম গোলটা পায় ফ্রান্স। রাফায়েল ভারানের দুর্দান্ত এক হেডে বল আশ্রয় নেয় প্রতিপক্ষের জালে।
সতীর্থ অ্যান্তোনিও গ্রিজমানের ফ্রি-কিক থেকে ভেসে আসা বলে এ ডিফেন্ডার লাফিয়ে মাথা ছুঁইয়ে দেন। বল পোস্ট ঘেঁষে চলে যায় লাতিন আমেরিকার দেশটির জালে। দেখার মতো এক গোল (১-০)! যদিও অবশ্য এর ৪ মিনিট পরই সমতা ফেরাতে যাচ্ছিল উরুগুয়ে। কিন্তু গোল হজম করা থেকে বাঁচান গোলকিপার উগো লরিস। ডিফেন্ডার মার্তিন কাসেরেসের হেড ডানপাশে লাফিয়ে আটকে দেন লরিস।
এরপর অবশ্য ফেরার অনেক চেস্টা করেছে উরুগুয়ে। কিন্ত সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা ফিরতে পারেনি। উল্টো গোলকিপার ফার্নান্দো মুসলেরার ভুলে হজম করেছে আরেকটা গোল। ৬১তম মিনিটে ডি-বক্সের ঠিক বাইরে থেকে গ্রিজমানের শট থেকে আসা বল আটকে দিতেই পারতেন দিনে। িকন্তু মনোযোগটা সম্ভবত ঠিকঠাক ছিল না। বল তার গ্লাভেস লেগে গোললাইন অতিক্রম করে যায় (২-০)!
শেষ পর্যন্ত এই ব্যবধানটাই ধরে রেখে মাঠ ছাড়ে ফ্রান্স। গ্রিজম্যানরা বুঝিয়ে দেন ১৯৯৮ সালের পর আবারো বিশ্বকাপ ট্রফি জেতার জন্য প্রস্তুত ফরাসিরা। আর মাত্র দুটো ম্যাচ। সেই দুটোতে ঝড় তুলতে পারলেই ২০ বছর পর ফের সেই সোনার ট্রফিটি ধরা দেবে হাতে।
অন্যদিকে আক্ষেপ সঙ্গী করেই রাশিয়া বিশ্বকাপ শেষ করল উরুগুয়ে। ম্যাচটাতে খেলতে পারেন নি তাদের সেরা তারকা এডিসন কাভানি। ইনজুরিতে সাইডলাইনে বসে সতীর্থদের হার দেখলেন তিনি। লু্ইস সুয়ারেজরা কান্না চেপে ছাড়লেন মাঠ!
Discussion about this post