বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ফিটনেস ট্রেনিং শেষ। বেশিরভাগ ক্রিকেটারই আগের চেয়ে চাঙ্গা। অনেকদিন মাঠের বাইরে থাকা মাশরাফিও আগের চেয়ে অনেকটাই সুস্থ। যা শুধু তার নিজের জন্য নয়; দলের জন্যও সুখবর। জারগেনসনও মাশরাফির শারীরিক অবস্থা দেখে অনেক খুশি। মাশরাফির শারীরিক অবস্থার উন্নতি দেখে খানিক রোমাঞ্চিত জারগেনসনের আবেগতাড়িত সংলাপ, ‘মাশরাফিকে দেখে বেশ ভালো লাগছে। তার বোলিং নিয়ে আমি অনেক কাজ করেছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে ইনজুরি লেগে থাকায় কিছু হয়নি। কিন্তু এবার তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি দেখে দারুণ খুশি।’
শুধু মাশরাফি নয়, দলের বেশিরভাগ ক্রিকেটারই সম্পূর্ণ সুস্থ। মাঝে যেভাবে ইনজুরি জেঁকে বসেছিল, এখর তার প্রায় সবটাই কেটে গেছে। তা জানিয়ে জারগেনসন বলেন, ‘সে অর্থে এখন কোনো ইনজুরি নেই। শুধু রবিউল ইসলাম শিবলুর হ্যামস্ট্রিংয়ে একটু সমস্যা আছে। আর সবচেয়ে বড় কথা মাশরাফির যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে।’
ক্যাম্পের প্রথম সপ্তাহের কার্যক্রম সম্পর্কে ধারণা দিয়ে বাংলাদেশ কোচ বলেন, ‘আমরা এখন প্রস্তুতির আরেক ধাপে আছি। ভেবেছিলাম প্রিমিয়ার লিগ মাঠে গড়াবে। কিন্তু তা হচ্ছে না। প্রথম দিন আমরা ব্যাটিং ও বোলিং অনুশীলন করব। সোমবার একটু ফিজিক্যাল ট্রেনিং হবে। আর এ সপ্তাহের শেষ দিকে একাধিক প্রাকটিস ম্যাচ খেলানো হবে। আশা করছি সেখানেই ফিটনেস ও স্কিল ট্রেনিং পূর্ণাঙ্গতা পাবে।’
কাউন্টি খেলার কারণে সাকিব এ ট্রেনিং সেশনের বাইরে। তবে তা নিয়ে কোনো চিন্তা নেই কোচের। তার মূল্যায়ন, ‘সাকিব খুবই পেশাদার। সে নিজের প্রস্তুতি ঠিকই নিচ্ছে।’
প্রাকটিস ম্যাচগুলো স্কিলের উন্নতিতে বড় ভূমিকা রাখতে পারে-এমন চিন্তা করা জারগেনসন বলেন, ‘আমরা আরও কিছু ম্যাচ খেলব। যা উন্নতিকে বড় ভূমিকা রাখবে।’ বেশ কিছুদিন বাংলাদেশ দল প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটের বাইরে। এটারও প্রয়োজন আছে, তা মনে হয় তার। এ কারণেই মুখে এমন সংলাপ, ‘ম্যাচ খেলা সবসময়ই অনেক উপকারের। তবে কখনও কখনও বিরতি পেলে ব্যক্তিগত স্কিলের উন্নতি করা যায়।’
Discussion about this post