তার ইনিংসটি নিঃসন্দেহে ওয়ানডে ক্রিকেটের অন্যতম সেরা হয়েই থাকবে। অসাধারন ব্যাটিংয়ে রস টেলর নিউজিল্যান্ডকে এনে দিয়েছেন দারুণ জয়। ডানেডিনে বুধবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৫ উইকেটে জিতে ৫ ম্যাচের সিরিজে ২-২ সমতা নিয়ে এসেছে কিউইরা। ইংল্যান্ডের ৩৩৫ রান তিন বল বাকি থাকতে টপকে জয়ের বন্দরে নোঙর করে স্বাগতিকরা।
মিডল অর্ডার নেমে টেলর অপরাজিত ছিলেন ১৮১ রানে। অথচ তিনি যখন উইকেটে আসেন তখন ভয়াবহ বিপদে দল। ২ রানে শেষ ২ উইকেট। সেই অবস্থায় গড়ে তুলেন প্রতিরোধের প্রাচীর। চতুর্থ উইকেটে টম ল্যাথামের সঙ্গে টেলর ১৮৭ রানের জুটি গড়েন। ৬৭ বলে তিনটি ছক্কা ও দুটি চারে ৭১ রান করে বিদায় নেন ল্যাথাম।
এর মধ্যে সেঞ্চুরিতে পৌঁছেই দুই রান নিতে গিয়ে ঊরুতে চোট পান টেলর। বাকী অংশে সেই চোট নিয়েই খেলে পাড়ি দেন রান পাহাড়!
আগের সেরা অপরাজিত ১৩১ টপকে সেরা টেলরের ব্যাটে এবার ১৮১ রান। ক্যারিয়ারের ১৯তম সেঞ্চুরি উঠে ৯৮ বলে। টেলরের ১৪৭ বলের ইনিংসে ১৭টি চারের সঙ্গে ছিল ৬টি ছক্কা।
ইউনিভার্সিটি ওভালে বুধবার ম্যাচটা টেলরের হয়েই থাকল। শনিবার ক্রাইস্টচার্চে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ওয়ানডে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
ইংল্যান্ড: ৫০ ওভারে ৩৩৫/৯ (রয় ৪২, বেয়ারস্টো ১৩৮, রুট ১০২, বাটলার ০, মর্গ্যান ৫, স্টোকস ১, মইন ৩, ওকস ৩, রশিদ ১১, কারান ২২*, উড ৩*; সাউদি ১/৮৭, বোল্ট ২/৫৬, ডি গ্র্যান্ডহোম ০/২৩, স্যান্টনার ০/৫৭, সোধি ৪/৫৮, মানরো ২/৫৩)
নিউজিল্যান্ড: ৪৯.৩ ওভারে ৩৩৯/৫ (গাপটিল ০, মানরো ০, উইলিয়ামসন ৪৫, টেইলর ১৮১*, ল্যাথাম ৭১, ডি গ্র্যান্ডহোম ২৩, নিকোলস ১৩*; ওকস ১/৪২, উড ১/৬৫, রশিদ ০/৭৪, কারান ২/৫৭, স্টোকস ১/৪৫, মইন ০/৫২)
ফল: নিউজিল্যান্ড ৫ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরা: রস টেলর
Discussion about this post