ঘরোয়া ক্রিকেটে গত কয়েক বছরে তিনি সেরা পারফরমারদের একজন। কিছুদিন আগেই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে পেরিয়েছেন ৫০০ উইকেটের মাইলফলক। তারপরও ডাক মিলছিল না জাতীয় দলে। চার বছর অপেক্ষার পর অবশেষে সুযোগ পেয়েই বাজিমাত। বয়সটা ৩৫ বছর ২৩৮ দিন বপেরিয়ে গেলে কী হবে, এখনো আগের মতোই স্পিন যাদু আছে তার বোলিংয়ে। ৪ বছর পর জাতীয় দলের জার্সিতে ফিরে সপ্রতিভ থাকলেন তিনি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বৃহস্পতিবার মিরপুর টেস্টের প্রথম দিনে ৬৩ রানে তিনি ৪ উইকেট নেন। যাকে বলে রাজকীয় প্রত্যাবর্তন!
রাজ্জাক ২০১৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি, সর্বশেষ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রামে মাঠে নেমেছিলেন। তখন চার ওভার বোলিং করে মাঠ ছেড়েছিলেন হ্যামস্ট্রিংয়ের ইনজুরি নিয়ে। আবারো সেই লঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই ফেরা। দিমুথ করুনারত্নেকে ফিরিয়ে শুরু। দ্বিতীয় স্পেলে ফিরেই পরপর দুই বলে তুলে নেন দানুসকা গুনাথিলাকা ও দিনেশ চান্দিমালকে। আর শেষে তুললেন কুসল মেন্ডিসকে।
টেস্টে রাজ্জাক ৫ উইকেটের দেখা এখনো পাননি। কে জানে ঢাকা টেস্টের ২য় ইনিংসেই হয়তো সেটা পেয়েও যেতে পারেন!
রাজ্জাক ৮ বছরের টেস্ট ক্যারিয়ারে খেলছেন মাত্র ১২ টেস্ট। উইকেট ২৩টি। সেরা ছিল ৯৩ রানে ৩ উইকেট। এবার ফিরেই ক্যারিয়ার সেরা বোলিং উপহার দিলেন তিনি। মনে রাখার মতো প্রত্যার্বতন।
ক্যারিয়ারে বাদ পড়ে ফিরে আসা এরপর এমান সাফল্য। এনিয়ে বৃহস্পতিবার মিরপুর টেস্টের ১ম দিন শেষে তিনি বলেন, ‘এটা আসলে জীবন ও খেলারই অংশ। আন্তর্জাতিক পর্যায়ের সঙ্গে ঘরোয়া ক্রিকেটের বড়সড় পার্থক্য থাকে। এখন ভাল লাগছে। অনুভূতিটা ভাল। ভাল কিছু করার চেষ্টা করেছি।’
Discussion about this post