ত্রিদেশীয় সিরিজে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ফাইনালে হারের দুঃখ ভুলতে বুধবার মাঠে নামছে বাংলাদেশ। চট্টগ্রামে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুরু হবে দুই টেস্ট সিরিজের প্রথমটি। বাংলাদেশের হয়ে প্রথমবারের মতো টস করতে নামবেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দেশের দশম টেস্ট ক্যাপ্টেন হতে যাচ্ছেন এই অলরাউন্ডার। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ৫দিনের এই টেস্ট শুরু হবে সকাল সাড়ে নয়টায়।
সাদা পোশাকে দুই দল খেলেছে ১৫টি টেস্ট। ১৫ বার লড়াইয়ে টাইগাররা জিতেছে মাত্র ১টিতে। তারপরও ঘরের মাঠে খেলার আগে মাহমুদউল্লাহ বলেন , ‘তারা টেস্টে ভালো করছে। ব্যক্তিগতভাবে মনে করি এবং বিশ্বাস করি, দেশের মাটিতে আমরা এগিয়ে থাকব। সাকিব না থাকার পরও আমাদের যে ভারসাম্যপূর্ণ দল আছে তাতে সবার সামর্থ্য আছে ভালো কিছু করার। দলে যথেষ্ট স্পিনার ও পেস বোলার আছে। ইতিবাচক ব্যাটসম্যান আছে, আশা করি যে কোনো মুহূর্তে ম্যাচ নিজেদের দিকে নিয়ে আসতে পারব।’
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সাকিবের অনুপস্থিতিতে এই ম্যাচ দিয়ে টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক হবে মাহমুদউল্লাহর। সাকিব নেই। তার অভাব বেশ ভালোভাবেই বোদ করছেন মাহমুদউল্লাহ। তিনি বলেন, ‘জয়ের জন্য ব্যক্তিগত কোনো নৈপুণ্যের দিকে তাকিয়ে নেই আমি। আমাদের লক্ষ্য থাকবে দল হিসেবে পারফরম করার। যদি মাঠে এই কাজটা করতে পারি তাহলে (নেতৃত্ব দেওয়া) আমার জন্য সহজ হয়ে যাবে। কম-বেশি অভিজ্ঞ ক্রিকেটার দলে আছে এবং জুনিয়র ক্রিকেটাররা সবাই বেশ সহায়ক। সেদিক থেকে আমি বলব, আমার জন্য ভালো হবে।’
স্পিন নির্ভর একাদশই সাজাবে বাংলাদেশ। দীর্ঘ চার বছর পর বন্দরনগীরে দেখা যেতে অভিজ্ঞ স্পিনার আব্দুর রাজ্জাককে। তার সঙ্গী হতে পারেন তাইজুল ইসলামা ও মেহেদী হাসান মিরাজ। পেসার থাকতে পারে রুবেল হোসেন ও মুস্তাফিজুর রহমানের একজন।
বেশ ফুরফুরে মেজাজে রয়েছে শ্রীলঙ্কা। ওয়ানডের চেয়ে সফরকারীদের টেস্ট দল একটু অভিজ্ঞ বলে নির্ভার দিনেশ চান্দিমাল। কোচ হাথুর বললেন, ‘আমাদের টেস্ট দলটা ওয়ানডের চেয়ে বেশি গোছাল। খেলোয়াড়েরা জানে তাদের কী করতে হবে।’
এ অবস্থায় জয়ে চোখ টাইগারদের। সন্দেহ নেই কিছুটা এগিয়ে থেকে মাঠে নামবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
Discussion about this post