ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ নিয়ে ভাবতে শুরু করেছেন আয়োজকরা। বিশেষ করে গতবার ঘরোয়া এই ক্রিকেট টুর্নামেন্ট হয়েছে বৃষ্টির মৌসুমে। এনিয়ে সমালোচনাও হয়েছে অনেক। কিন্তু এবার সেই পথে হাটতে রাজী নয় তারা। জানুয়ারি ২ বা ৩ তারিখ ক্লাব কর্তাদের সঙ্গে বসে সূচি তৈরির কথা ভাবছেন আয়োজকরা। জানা গেছে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে শুরু হতে পারে লিগ। শুরুর ৮-১০ দিন আগে ‘প্লেয়ার্স বাই চয়েজ’ ড্রাফট হবে।
ক্রিকেটারদের স্বাধীনভাবে দল বেছে নেওয়ার সুযোগ থাকছে না। তাদেরকে গ্রেডিংয়ে রেখে পারিশ্রমিক বেধে দেওয়া হবে। এই ‘প্লেয়ার্স বাই চয়েজ’ বাদ দেয়ার কথা থাকলেও আগের পথেই হাটছে সিসিডিএম।
এমনিতে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের খেলা এখন নিয়মিতই হয় বিকেএসপি ও ফতুল্লায়। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে হাতেগোনা কিছু ম্যাচই হয়েছে। বলা হচ্ছে এ কারণে প্রিমিয়ার লিগ আকর্ষণ হারিয়েছে। এ কারণে ঢাকায় বেশি ম্যাচ আয়োজনার কথা ভাবা হচ্ছে এবার। এমন কী লিগ ম্যাচ সরাসরি টেলিভিশনে সম্প্রচারের কথাও ভাবা হচ্ছে। এক্ষেত্রে কমপক্ষে ৫-৬টি খেলা সরাসরি সম্প্রচার করার উদ্যোগ নেয়া হবে।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আম্পায়ারিংয়ের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বারবারই। এমন কী পক্ষপাতদুষ্ট আম্পায়ারিংয়ের শিকার হতেও দেখা গেছে। নিম্নমানের কারণে এমনটা হয়েছে। পক্ষপাত ও উদ্দেশ্যমূলক আম্পায়ারিংয়ের এই অভিযোগ নিয়ে এবার আগে থেকেই কাজ শুরু করতে চায় সিসিডিএম।
ঢাকা মেট্রোপলিসের (সিসিডিএম) চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পাওয়া কাজী ইনাম আহমেদ জানাচ্ছিলেন, ‘সবসময়ই একটা প্রশ্ন থেকে গেছে আম্পায়ারিং নিয়ে। আমাদের বোর্ড প্রধান অনেকবারই বলেছেন প্রিমিয়ার লিগ, প্রথম বিভাগ থেকে শুরু করে সব লিগেই চেষ্টা থাকবে ভালো করার। এই বিষয়ে এরমধ্যেই আম্পায়ারিং কমিটির নতুন চেয়ারম্যানের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আম্পায়ারিংয়ের মান যেন ভালো থাকে, একটা নির্দিষ্ট মান যেন থাকে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
Discussion about this post