জয় দিয়ে টি-টুয়েন্টি অধিনায়কত্বের পথচলা শুরু হল না সাকিব আল হাসানের। তারপরও অবশ্য হতাশ নন সাকিব আল হাসান। তার চোখ সামনের দিকে। রোববার সিরিজের শেষ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জিততে তৈরি টাইগাররা। বৃহস্পতিবার রাতে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ২০ রানে হেরেছে দল। শেষ ম্যাচে জেপি ডুমিনির দল জিতে গেলে এখানেও হোয়াইট ওয়াশের লজ্জা নিয়ে দেশে ফিরবে সাকিবদের। তাইতো ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় ক্রিকেটারদের। দুঃস্বপ্নের এই সফরে প্রথমে টেস্টে সিরিজে হোয়াইট ওয়াশ হয় বাংলাদেশ। তারপর ওয়ানডেতেও একই ফল!
বৃহস্পতিবার রাতে ব্লুমফন্টেইনের ম্যানগাউং ওভালে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা ৪ উইকেটে ১৯৫ রান তুলে। জবাবে ৯ উইকেটে ১৭৫ রান করে থামে বাংলাদেশ। দুঃস্বপ্নের সফরের শেষ ম্যাচে রোববার পচেফস্ট্রুমে দ্বিতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে গোটা দল। প্রথম টি-টুয়েন্টিতে ব্যাট হাতে ৪৭ রান করা সৌম্য সরকার বলেন, ‘প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা দুইশর মতো রান করেছে। আমরা করেছি ১৭৫। অবশ্যই জয়ের সামর্থ্য আছে আমাদের দলের। মাঝখানে যদি একজন ব্যাটসম্যান রান পেত আমরা হয়তো সহজেই ম্যাচটা জিতে যেতাম। এখান থেকে আমাদের অনেক আত্মবিশ্বাস বেড়েছে যে, আমরা দুইশ রান করতে পারি। আশা করছি পরের ম্যাচেই সব ভুল সামলে জিততে পারবো।’
সৌম্যর ৩১ বলে ৪৭ রানের ইনিংসটা নিয়ে এখন আক্ষেপ হয়। বলেন, ‘মনে মনে আক্ষেপ হচ্ছে- আমি ইনিংসটা বড় করতে পারতাম। দল যদি জিততে পারত তখন ইনিংস নিয়ে কথা বলা যেত। এখন আমিও শেষ করতে পারিনি, আগেই আউট হয়ে গেছি। দলও জেতেনি অবশ্যই এই রানের গুরুত্ব নেই।’
টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজে নামের প্রতি সুবিচার করে খেলতে পারেন নি সৌম্য। এখানে ২০ ওভারের ক্রিকেটে বেশ সাবলীল মনে হয়েছে তাকে। তাহলে কী সেই আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছেন তিনি? বলছিলেন, ‘ভিন্ন ফরম্যাটে খেললে তার একটা আলাদা পরিকল্পনা থাকে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টি দুইটা যেভাবে খেলেছিলাম, পরিকল্পনা ছিল সেভাবেই খেলব। একইভাবে খেলেছি। এখন এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চাই আমি।’
Discussion about this post