মাশরাফি বিন মুর্তজা সত্যিকার অর্থেই বাংলাদেশ ক্রিকেটের জিয়ন কাঠি। তিনি দলের সঙ্গে যোগ দিতেই নতুন করে যেন জেগে উঠেছে বাংলাদেশ জাতীয় দল। টেস্ট সিরিজের ব্যর্থতা মুছে তাইতো বৃহস্পতিবার থেকে আরেক মিশনে নামছে টাইগাররা। দক্ষিণ আফ্রিকা আমন্ত্রিত একাদশের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে নামছে বাংলাদেশ।
প্রোটিয়াদের বিপক্ষে সর্বশেষ ওয়ানডে সিরিজটা দেশের মাঠেই খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। যেখানে ২-১ ব্যবধানে জিতেছিল তারা। সেই সুখস্মৃতি নিয়ে লড়াই করতে চায় দল।
দলের ওপেনার ইমরুল কায়েস এরইসমধ্যে বলেছেন, ‘বাংলাদেশের কন্ডিশনে আমরা শক্তিশালী দল। আমরা প্রমাণ করছি, অ্যাওয়েতে এসে ম্যাচ জেতা সম্ভব। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে আমরা ম্যাচ জেতা শুরু করেছি। এখানে ভালো একটা সিরিজ হবে। যদি আমরা বেটার ক্রিকেট খেলতে পারি ভালো একটা ফল হওয়া সম্ভব।’
দক্ষিণ আফ্রিকা আমন্ত্রিত একাদশের নেতৃত্বে থাকবেন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার জেপি ডুমিনি। দলটিতে খেলবেন এবিডি ভিলিয়ার্সের মতো তারকারা। তারা নিজেদর ঝালিয়ে নিতে চাইবেন। এই লড়াইয়ের আগে প্রধান কোচ চিন্ডকা হাথুরুসিংহে, সহকারী কোচ রিচার্ড হ্যালসল, অধিনায়ক মাশরাফি, সহ-অধিনায়ক সাকিবসহ অন্য তিন সিনিয়র ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ ও তামিম ইকবাল সভায় বসেছিলেন। টেস্টে হোয়াইটওয়াশের ধাক্কা সামলে উঠতে চায় দল। এ কারণে প্রস্তুতি ম্যাচ থেকেই ভাল করতে চায় তারা।
আগামী রোববার তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। তারপর আরো দুটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলবে দুই দল।
ওয়ানডে সিরিজ-
প্রস্তুতি ম্যাচঃ ১২ অক্টোবর, বাংলাদেশ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশ।
প্রথম ওয়ানডেঃ ১৫ অক্টোবর।
দ্বিতীয় ওয়ানডেঃ ১৮ অক্টোবর।
তৃতীয় ওয়ানডেঃ ২২ অক্টোবর।
Discussion about this post