ব্যাটিং ব্যর্থতায় সিরিজ জয়ের স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশের। চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিন শেষেও ম্যাচটা নাগালেই ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু বৃহস্পতিবার আশায় গুড়েবালি। স্বপ্নের নাগাল পেল না টাইগাররা। ন্যাথান লায়নের মায়াবি স্পিন সব শেষ করে দিল। তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ৭ উইকেটে জিতে সমতায় সিরিজ শেষ করল অস্ট্রেলিয়া। ঢাকায় সিরিজের ১ম টেস্টে বাংলাদেশ ২০ রানে জিতেছিল।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ২য় ইনিংসে অলআউট হয় ১৫৭ রানে। তারপর জয়ের জন্য ৮৬ রানের লক্ষ্য পূরণ করতে গিয়েও অজিরা হারায় ৩ উইকেট। তাইতো সিরিজ শেষ পর্যন্ত ১-১ সমতাতেই শেষ হল।
ম্যাচে ১ম ইনিংসে বাংলাদেশ ৩০৫ অলআউট হয়। তারপর অস্ট্রেলিয়াকে ৩৭৭ রানে আটকে দেয়। কিন্তু তারপরই পথ হারায় বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার ব্যাটসম্যানরা যেন উইকেটে আসা-যাওয়ার দায়টুকু সেরেছেন। যথারীতি ব্যর্থ সৌম্য সরকার। ঢাকা টেস্টের দুই ইনিংসে করেছলিনে ৮ ও ১৫ রান। চট্টগ্রামে দ্বিতীয় টেস্টে ১ম ইনিংসে ৩৩ রান। আর মাত্র ৯। তামিম ইকবাল ফিরেন তামিম ১২ রানে। সাকিব আল হাসান আউট ২ রান করে। ব্যাটিংয়ে চার নম্বরে উন্নীত নাসির হোসেন ৫ রানে আউট।
৫ উইকেট ৪৩ রান তুলে ভয়াবহ বিপর্যয়ে পড়ে দল। এ অবস্থায় সাব্বির রহমান করেন ২৪ রান। তারপর মুশফিক আউট ৩১ রানে। আটে নেমে মুমিনুল ২৯ রান ড্রেসিংরুমে ফিরেন।
নাথান লায়ন ১ম ইনিংসে ৭ উইকেটের পর দ্বিতীয় ইনিংসে নেন ৬ উইকেট । ম্যাচে ১৫৪ রানে ১৩ উইকেট। এটিই বাংলাদেশের বিপক্ষে কোনো বোলারের ম্যাচে সেরা বোলিং। এশিয়ায় কোনো অস্ট্রেলিয়ান বোলারের সেরা বোলিং ফিগার। সিরিজের দুই টেস্ট মিলিয়ে ২২ উইকেট নিয়ে লায়ন ভেঙ্গে দেন ১৩০ বছরের পুরনো এক রেকর্ড। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দুই টেস্ট সিরিজে সবচেয়ে বেশি উইকেট বর্তমানে তার। ১৮৮৭ সালে আগের রেকর্ডটি করেছিলেন জন জেমস ফেরিস। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২ টেস্টে নেন ১৮ উইকেট।
অনেক আলোচিত অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সিরিজ শেষ। এবার দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাবে টাইগাররা। ২৮ সেপ্টেম্বর শুরু সিরিজের প্রথম টেস্ট। সফরে স্বাগতিকদের সঙ্গে দুই টেস্ট, তিন ওয়ানডে আর দুটি টি-টুয়েন্টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৩০৫/১০ ও ২য় ইনিংস: ৭১.২ ওভারে ১৫৭ (তামিম ১২, সৌম্য ৯, ইমরুল ১৫, নাসির ৫, সাকিব ২, মুশফিক ৩১, সাব্বির ২৪, মুমিনুল ২৯, মিরাজ ১৪*, তাইজুল ৪, মুস্তাফিজ ০; কামিন্স ২/২৭, লায়ন ৬/৬০, ও’কিফ ২/৪৯)
অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস: ৩৭৭/১০ ও ২য় ইনিংস: (লক্ষ্য ৮৬) ১৫.৩ ওভারে ৮৭/৩ (রেনশ ২২, ওয়ার্নার ৮, স্মিথ ১৬, হ্যান্ডসকম ১৬*, ম্যাক্সওয়েল ২৫*; মুস্তাফিজ ১/১৬, সাকিব ১/৩৫, তাইজুল ১/২৬, নাসির ০/১০)
ফল: অস্ট্রেলিয়া ৭ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরা: নাথান লায়ন
সিরিজ: ১-১ সমতা
সিরিজসেরা: ন্যাথান লায়ন ও ডেভিড ওয়ার্নার
Discussion about this post