মুমিনুল নাটকের এরচেয়ে সুন্দর সমাপ্তি বুঝি আর হতেই পারতো না। বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত বাদ পড়ার একদিন পরই টেস্ট দলে জায়গা পেয়ে গেলেন মুমিনুল হক সৌরভ। রোববার দুপুরে বিসিবি সভাপতি শেরেবাংলায় আসতেই অবশ্য নিশ্চিত হয়ে যায় কিছু একটা ঘটতে যাচ্ছে। তারপর তিনি প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু ও প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। বিকেলে তিনি জানিয়ে দেন- অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের দলে থাকছেন মুমিনুল। বাদ পড়ার একদিন পরই আবার দেল ফিরলেন তিনি। তবে তার অন্তুভুক্তিতে কাটা পড়লেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।
শনিবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের দল ঘোষণার পর থেকেই অবশ্য মুমিনুল ছিলেন আলোচনায়। তার বাদ পড়ায় নিয়ে সাংবাদিক, বিশ্লেষক আর ভক্তদের কাঠগড়ায় ছিলেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু ও প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। সেই সমালোচনার ইতি হল। মোসাদ্দেক হোসেনকে সরিয়ে মুমিনুলকে দলে নেয়া হল। চোখের সমস্যায় বাদ পড়েছেন তিনি। চোখের কর্নিয়ায় ইনফেকশন দেখা দেয়ায় চট্টগ্রামে অনুশীলন পর্বে দেখা যায়নি তাকে। এখন অবশ্য সুস্থ সৈকত।
মুমিনুল বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা টেস্ট ব্যাটসম্যান। দেশের টেস্ট ব্যাটসম্যানদের মধ্যে তার ব্যাটিং গড় সবচেয়ে বেশি। ২২ টেস্টে খেলে করেছেন ৪ শতরান আর ১১ অর্ধশতক। রান এসেছে ১৬৮৮। গড় ৪৬.৮৯! এমন একজনকে বাদ দিলে তো সমালোচনা হবেই!
মুমিনুলকে দলে নিয়ে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘দলে মুমিনুলের না থাকাটা খুবই দুঃখজনক। নিঃসন্দেহে ও বাংলাদেশের অন্যতম সেরা টেস্ট ব্যাটসম্যান। আমরা এক-দুই বছর ধরে টেস্ট স্পেশালিস্ট হিসেবেই তাকে বিবেচনায় রেখেছি। ভবিষ্যতেও তাই থাকবে। আমরা তাকে যথাযথভাবে পরিচর্যা করবো।’
২০১৩ সালের মার্চে অভিষেক হয় মুমিনুলের। তারপর এবারই প্রথম টেস্ট দল থেকে বাদ পড়েছিলেন মুমিনুল। ২৪ ঘন্টা না পেরোতেই আবার দলে তিনি।
Discussion about this post