টেস্ট ক্রিকেটে জড়িয়ে আছেন সেই ২০০৫ সাল থেকে। এরপর ৫৪টি টেস্ট খেলে ফেলেছেন মুশফিকুর রহীম। কিন্তু মজার ব্যাপার হল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এখনও টেস্ট খেলার সুযোগ হয়নি তার। সেই ২০০৬ সালে বাংলাদেশ যখন অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে শেষবার লড়েছিল তখন টেস্ট দলের বাইরে তিনি।সময়ের পথ ধরেই সেই তিনিই এখন সাদা পোশাকে টাইগারদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এবার তিনি অস্ট্রেলিয়ার প্রতীক্ষায় আছেন।
যদিও অজিদের এ মাসে বাংলাদেশ সফর নিয়ে এখনো শঙ্কা কাটেনি। তবে কিছুটা আশার আলো দেখা যাচ্ছে। ধারনা করা হচ্ছে স্টিভেন স্মিথরা ঠিক সময়েই আসবেন। বেতন-ভাতা নিয়ে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) ও অস্ট্রেলিয়া প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের (এসিএ) বিরোধ সমাধানের ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে। এ অবস্থায় খুশি মুশফিক। মঙ্গলবার যেমনটা বলছিলেন তিনি, ‘দেখুন, ওরা সমাধানের পথ খুঁজে পেয়েছে, এটা অবশ্যই আমাদের জন্য স্বস্তির। শুধু আমি না, আমরা সবাই খুব উচ্ছসিত।১২ বছর টেস্ট খেলার পরও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে একটা টেস্ট খেলারও সৌভাগ্য হয়নি আমার। সব ঠিকঠাক থাকলে এটি আমাদের জন্য অনেক বড় সুযোগ।’
এমনিতে গত কয়েকবছর ধরেই দেশের মাঠে দুর্দান্ত খেলছে বাংলাদেশ। সর্বশেষ ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও এসেছে দুর্দান্ত জয়। এবার সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চায় টাইগাররা। মুশি জানালেন, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেট দল কয়েকবছর ধরে যেভাবে ভালো খেলছে, তাতে অস্ট্রেলিয়ার মতো বড় একটা টেস্ট দলের সঙ্গে আমরা যদি আরও ভালো খেলতে পারি; সেটা বিশ্ব ক্রিকেটকে অন্যরকম একটা বার্তা দেওয়া হবে। আমরা যেভাবে শেষ হোম সিরিজ ইংল্যান্ডের সঙ্গে খেলেছি, সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চেষ্টা করবো ।’
অস্ট্রেলিয়াকে দুই টেস্টের সিরিজে হারানো সম্ভব বলেই মানেন মুশফিক। বলছিলেন, ‘জানি এটা সহজ হবে না। উপমহাদেশে ওদের রেকর্ড অনেক ভালো। ভারতে শেষ সিরিজ হারলেও একটা ম্যাচ ওরা জিতেছিল। সবকিছু ভেবেই আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। তবে লক্ষ্যটা অসম্ভব নয়।’
সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ১৮ আগস্ট অস্ট্রেলিয়া দলের বাংলাদেশ সফরে আসার কথা। ২২ থেকে ২৩ আগস্ট ফতুল্লায় একটি দুইদিনের ম্যাচ খেলবে সফরকারীরা। প্রথম টেস্ট মিরপুরে ২৭ থেকে ৩১ আগস্ট। চট্টগ্রামে দ্বিতীয় টেস্ট ৪ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর।
এই সিরিজকে সামনে রেখে গত ১০ জুলাই থেকে মিরপুরে প্রস্তুতি শুরু করে বাংলাদেশ।
Discussion about this post