আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এগার বছর পার করে ফেললেন সাকিব আল হাসান। কখন যে এক দশক পেরিয়ে নতুন আরেক দশকে পা রাখলেন টেরই যেন পাওয়া গেল না! এই পেরিয়ে আসা পথে তৃপ্তির শেষ নেই! প্রথমবারের মতো র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠার স্মৃতি তো আছেই। ৩১ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারটি এখন বাংলাদেশের সেরাই নন, বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারও।
ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (সিপিএল) খেলতে শনিবারই দেশ ছাড়ার কথা ছিল তার। কিন্তু ভিসা জটিলতায় সেটা আর হয়ে উঠেনি। সময় যখন মিলল তখন আবারও মিরপুরের শেরেবাংলায় চলে আসলেন তিনি। রোববার মুখোমুখি হলেন সাংবাদিকদের। সাকিব বললেন, ‘দেখুন প্রতিটি টুর্নামেন্টেই নতুন নতুন অভিজ্ঞতা থাকে, মজা থাকে, রোমাঞ্চ থাকে। গত ১০-১৫ বছর ধরে ক্রিকেট খেলছি। যেখানেই খেলি মজাই লাগে। আনন্দ পাই এ কারণেই খেলে যাচ্ছি।’
সিপিএল বরাবরই ভাল লাগে সাকিবে। কেন? তার উত্তরে এই টাইগার ক্রিকেটার বলেন, ‘অন্য টুর্নামেন্টের চেয়ে এখানকার (সিপিএল) পরিবেশ অন্য রকম। খেলার সিরিয়াসনেসটা মাঠেই বেশি। মাঠের বাইরে তেমন কোনো ব্যাপার নেই। জায়গাগুলো খুব সুন্দর। সবাই নির্ভার থাকতে পছন্দ করে। সেদিক থেকে বলতে গেলে অনেক বেশি উপভোগ করি। সেখানকার উইকেটও একটু সহজ। সেখানে স্পিনারদের জন্য উইকেটে কিছু থাকে।’
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) ইদানিং একাদশে জায়গা হয় না সাকিবের। কিন্তু সিপিএল তা হয়না। ব্যাপারটাও ভাল লাগে এই অলরাউন্ডারের। জানালেন, ‘আইপিএলে প্রতি দলে ১০ জন বিদেশি খেলোয়াড় থাকে। এ কারণে সেখানে প্রতিযোগিতাটা বেশি—একাদশে কোন চারজন খেলবে। ভালো খেলেও পরের ম্যাচে কম্বিনেশনের কারণে খেলা যায় না। সিপিএল বা পিএসএলে যেটা হয়, চারজন মোটামুটি নির্দিষ্টই থাকে। খুব বেশি প্রয়োজন না হলে পরিবর্তন করে না। এ ছাড়া আর কোনো পার্থক্য দেখি না। সব জায়গায় পরিবেশ এবং খেলার কোয়ালিটিই ভালো।’
১৫ আগস্ট পর্যন্ত অনাপত্তিপত্রও নিয়ে সিপিএল মিশনে যাচ্ছেন সাকিব। খেলবেন জ্যামাইকা তালওয়াসে। এবারের সিপিএলে সাকিব ছাড়াও খেলছেন মেহেদি হাসান। কয়েকদিন আগেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ পৌঁছেছেন মিরাজ। আগস্টের মাঝামাঝি বাংলাদেশ সফরে দুটি টেস্ট খেলতে আসার কথা অস্ট্রেলিয়ার। তার আগেই দেশে ফিরবেন দু’জন।
Discussion about this post