ইতিহাস গড়া আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির অভিজ্ঞতা শেষে শনিবার দেশে ফিরল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। যেখানে প্রাপ্তির সঙ্গে আক্ষেপও আছে।গ্রুপ পর্বে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডের মতো দলকে পেছনে ফেলে দল উঠে গিয়েছিল সেমিফাইনালে। কিন্তু এরপরই স্বপ্ন যাত্রা শেষ। ভারতের কাছে ৯ উইকেটে হার। যদিও বলা হচ্ছে এটি বাংলাদেশের সেরা অর্জন। শনিবার ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃপ্তি ছিল মাশরাফি বিন মর্তুজার কথা। একইসঙ্গে ছিল আক্ষেপও।
বার্মিংহাম থেকে ১৮ ঘণ্টার বিমান ভ্রমণের ক্লান্তি মুছে মাশরাফি বললেন, ‘বিশ্বকাপ তো বিশ্বকাপই। কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা যদি বলেন তবে অবশ্যই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খুবই কঠিন। এখানে গ্রুপ পর্ব পেরুনোতেই থাকে অনেক জটিল অঙ্ক। আমরা ছিলাম গ্রুপ অব ডেথে।তারপরও নিজ যোগ্যতা বলে সেমিফাইনাল খেলেছি। দুই বছর আগের (২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল) অর্জনের চেয়ে এবারের সাফল্যকে আমি এগিয়ে রাখব।’
বাংলাদেশ অধিনায়ক আরো বলেন, ‘সেমিফাইনালে খেলাটা অনেক বড় ব্যাপার। এজন্য অবশ্যই ভালো লাগছে। তবে খারাপ লাগাও আছে। একটা ভালো সুযোগ পেয়েছিলাম, কিন্তু আমরা সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারিনি। কিন্তু হতাশ হলে চলবে না, সামনে আরও বড় টুর্নামেন্ট বা সিরিজ আছে।’
মাশরাফির বিশ্বাস তরুনদের নিয়ে। বলেন, ‘তরুণদের জন্য এতো বড় টুর্নামেন্ট সহজ নয়। তারা নিজেরাও জানে যে তাদের আরো উন্নতি করতে হবে। হয়তো ওদের কাছে যেমনটা প্রত্যাশা করা হয়েছিল তেমনটা করতে পারেনি। ওদের ভালো ভবিষ্যৎ আছে।২০১৯ বিশ্বকাপে তারা আরও দায়িত্ব নিয়ে খেলতে পারবে। তখন ওরা আরো বেশি পরিণত হবে। এখন তাদের শেখার আর উন্নতির সময়।’
দলের সবাই একসঙ্গে ফিরেননি। পরিবার নিয়ে ইংল্যান্ড যাওয়া মুশফিকুর রহীম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও ইমরুল কায়েস আরো কিছুদিন ঘুরে বেড়াবেন।
এদিকে প্রায় দুই মাসের লম্বা সফর শেষে টাইগারদের সামনে আপাতত লম্বা ছুটি। ৪ সপ্তাহ পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর পর ফের ব্যস্ততা শুরু হবে মাশরাফি-মুস্তাফিজদের। আগস্টে আসছে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট দল। সেই লড়াইয়ে মন দেবেন সবাই।
Discussion about this post