ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) মঙ্গলবারের তিনটি ম্যাচই পড়েছে বৃষ্টির কবলে। তবে প্রকৃতির এই বাধা গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের জয়ে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। শেখ জামালকে ডাকওয়াথ-লুইস ম্যাথডে নাদিফ চৌধুরীর দল হারাল ২৪ রানে। এ নিয়ে এবারের টানা আট ম্যাচ জিতে অপরাজিত থাকল দলটি।
মঙ্গলবার ঢাকা লিগের অন্য ম্যাচে বৃষ্টি আইনে কলাবাগান ক্রীড়া চক্রকে ১৭ রানে ব্রাদার্স ইউনিয়ন ও ৩৭ রানে পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবকে হারাল প্রাইম ব্যাংক।
বৃষ্টির কারণে শেখ জামাল-গাজী গ্রুপের ম্যাচটি হয় ৪৩ ওভারে। নির্ধারিত ওভারে তানভির হায়দারের ৫৭ রানে ভর করে ৯ উইকেটে ২৩২ রান তুলে শেখ জামাল। এরপর জিততে ২০.৫ ওভারে ২ উইকেটে ১১৪ রান করে গাজী। তারপরই শুরু হয় অঝোর ধারার বৃষ্টি। তখন ডিএল ম্যাথডে দলটির জয়ের জন্য দরকার ছিল ৯১ রান। যে কারণে ম্যাচটি তারা জিতে যায়২৪ রানে ।
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ৪৩ ওভারের ৪ বল আগেই ১৭১ রানে অলআউট হয় কলাবাগান। জবাব দিতে নেমে ২২.২ ওভারে১ উইকেটে ৮২ রান করে ব্রাদার্স। সে সময় শুরু হয় বৃষ্টি। পরে খেলা আর মাঠে না গড়ালে ডি এল ম্যাথডে বাদার্স জিতে যায় ১৭ রানে।
ফতুল্লায়ও বৃষ্টির বাগড়ায় পড়ে পারটেক্স ও প্রাইম ব্যাংকের ম্যাচও। পারটেক্সের ছুড়ে দেয়া ১৯৩ রানের লক্ষ্য টপকাতে নেমে ২৪ ওভারে বিনা উইকেটে ১১৪ রান করে প্রাইম ব্যাংক। তখনই নামে বৃষ্টি। পরে আর বল মাঠে না গড়ালে ডি এল ম্যাথোডে প্রাইম ব্যাংক ৩৭ রানে ম্যাচ জিতে।
লিগে অষ্টম রাউন্ড শেষে আগের মতো টেবিলের শীর্ষে গাজী। ৮ ম্যাচে ৬ জয়ে রান রেটে এগিয়ে থেকে দুইয়ে আবাহনী। তিন নম্বরে আছে প্রাইম ব্যাংক।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব: ৪৩ ওভারে ২৩২/৯ (মাহমুদ ৩৮, আল মামুন ২৩, প্রশান্ত ৩৫, তানবীর ৫৭, রাজিন ১৬, জিয়া ২০, সোহাগ ২১, সানি ৮, মাহমুদুল ৭* শাকিল ০*; হায়দার ২/৪৭, হোসেন ১/২৯, মেহেদী ২/৩৬, শুভ ১/৪৩, শাহজাদা ১/১৪, রসুল ১/৬২)
গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স: ২০.৫ ওভারে ১১৪/২ (এনামুল ১২, জহুরুল ৪৯*, মুমিনুল ৪৬, শুভ ৫*; শাহাদাত ০/১৮, সোহাগ ১/২১, সানি ০/১৬, মাহমুদ ০/২৫, তানবীর ১/১৭)
ফল: গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে ২৪ রানে জয়ী
ম্যাচসেরা: জহুরুল ইসলাম
Discussion about this post