ওয়েলিংটনের শুক্রবার সকালটা ছিল অন্যরকম। রোদ ঝলমলে। আগের দিনের সেই তীব্র বাতাসও নেই। এরইমধ্যে মুমিনুল হক দ্রুত ফিরে গেলেও এক রূপকথা লড়াই শুরু করেন সাকিব আল হাসান এবং মুশফিকুর রহীম। দেশের বাইরে মঞ্চস্থ হয় টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসের অনন্য এক কাব্য। স্বপ্নের মতো একটা দিন পার করে বাংলাদেশ।
বেসন রিজার্ভের সবুজ উইকেটে সাকিব-মুশফিকে লেখা হয় নতুন এক ইতিহাস।শুক্রবার ওয়েলিংটন টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে ৭ উইকেটে ৫৪২ করেছে টাইগাররা।
দিনে প্রাপ্তি অনেক। সাকিব-মুশফিক মিলে গড়েন ৩৫৯ রানের রেকর্ড জুটি। একদিনে ৩৮৮ রান। সাকিবের ব্যাটে ২১৭। যা কীনা টেস্টে বাংলাদেশের কোন ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড!
এমন অর্জনের পর তৃপ্তির ঢেকুর সাকিবের। বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার বলছিলেন, ‘দেশের জন্য কিছু করতে পারলে অবশ্যই ভাল লাগে। আজকের দিনে যা হল তা নিয়ে গর্ব হচ্ছে। আল্লাহর অশেষ রহমতে আমি এমন একটা ইনিংস খেলতে পেরেছি।’
সত্যিই গর্ব করারই মতো সাফল্য। এদিন টেস্ট ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি তুললেন সাকিব। পেলেন প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি। কম যাননি অধিনায়ক মুশফিকও। ইনজুরি কাটিয়ে উঠে ব্যাটে ঝকঝকে ১৫৯ রান। গড়লেন ৩৫৯ রানের ঐতিহাসিক জুটি। যে কোনো উইকেটেই এটি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জুটি। ১৯৭৩ সালে ডানেডিন টেস্টে চতুর্থ উইকেটে ৩৫০ রান যোগ করেন পাকিস্তানের আসিফ ইকবাল ও মুশতাক মোহাম্মদ। এটিই এতোদিন ছিল নিউজিল্যান্ডে সফরকারী দলগুলোর সর্বোচ্চ জুটি। সে রেকর্ড পেছনে ফেলে দিলেন সাকিব-মুশফিক।
সাকিব টপকালেন তামিম ইকবালের ২০৬ রানের রেকর্ড। সব মিলিয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আসলে সোনার বাধিয়ে রাখার মতো একটা দিন পার করল বাংলাদেশ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ১৩৬ ওভারে ৫৪২/৭ (তামিম ৫৬, ইমরুল ১, মুমিনুল ৬৪, মাহমুদউল্লাহ ২৬, সাকিব ২১৭, মুশফিক ১৫৯, সাব্বির ১০*, মিরাজ ০; বোল্ট ২/১২১, সাউদি ২/১৪৪, ডি গ্র্যান্ডহোম ০/৬৫, ওয়াগনার ৩/১২৪)।
Discussion about this post