প্রথম ইনিংসে ৫২৭ রান করার পর ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে তৃতীয় টেস্ট নিয়ে একরকম নিশ্চিন্তেই ছিলেন অজি অধিনায়ক। কিন্তু রোববার চতুর্থ দিনের শেষদিকে এসে তার কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ এবং সেটা ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের আবহাওয়া নিয়েই। কারণ প্রথম ইনিংসে ৩৬৮ রানে ইংল্যান্ড অল আউট হওয়ার পর অজিরা দ্বিতীয় ইনিংসে দ্রুত রান তুলতে গিয়ে উইকেট হারাতে থাকে। ৭ উইকেটে ১৭২ রান তোলার পর আলোক স্বল্পতার জন্য চতুর্থ দিনের বাকি সময় আর খেলা হতে পারেনি। অবশ্য ততক্ষণে অস্ট্রেলিয়া এগিয়ে গেছে ৩৩১ রানে। হয়তো ক্লার্ক চেয়েছিলেন কালই ইংল্যান্ডকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে পাঠাবেন। কিন্তু আলোক স্বল্পতা তার সেই আশা পূরণ করেনি। তার ওপর আজ বৃষ্টির আশঙ্কা। তাই তো ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে শেষ বা পঞ্চম দিনে নাটক জমে ওঠার অপেক্ষায়।
পিটারসেনের সেঞ্চুরি আর কুক-বেলের হাফসেঞ্চুরিতে তৃতীয় দিন ৭ উইকেটে ২৯৪ রানে শেষ করেছিল ইংল্যান্ড। তখন অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে ২৩৩ রান পিছিয়ে ছিল স্বাগতিকরা। ফলোঅন এড়াতে দরকার ৩৪ রান। অপরাজিত ছিলেন ম্যাট প্রায়র ৬ ও স্টুয়ার্ট ব্রড ৯ রান নিয়ে। বস্তুত এ জুটির দিকেই তাকিয়ে ছিল ইংল্যান্ড। কাল সকালেও অজি বোলারদের বিপক্ষে ভালোই এগোচ্ছিল এ জুটি। খুব বেশিদূর যেতে পারেননি বটে তবে ৫৩ রান তুলে ফলোঅন থেকে দলকে রক্ষা করেন এ দুই লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যান। ৩২ রান করে ব্রড এবং ৩০ করে প্রায়র ফিরে গেলে দ্রুত ৩৬৮ রানে গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা। ১৫৯ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই ছিল অস্ট্রেলিয়ার। ৭৪ রান তুলে ফেলেছিল ২ উইকেট হারিয়ে। কিন্তু ৪২ রান করে ওয়ার্নার ফিরে গেলে শুরু হয় ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়া। স্কোর বোর্ডে দ্রুত রান তুলতে গিয়ে ব্যাটসম্যানরা উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন। খেলা বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত ক্রিজে ছিলেন অজি অধিনায়ক ক্লার্ক ৩০ এবং রায়ান হ্যারিস শূন্য রান নিয়ে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস : ৫২৭/৭ ডি.। এবং ২য় ইনিংস : ১৭২/৭ (রজার্স ১২, ওয়ার্নার ৪১, খাজা ২৪, ওয়াটসন ১৮, ক্লার্ক ৩০ ব্যাটিং, স্মিথ ১৯, হাডিন ৮, স্টার্ক ১১; অ্যান্ডারসন ২/৩৭, ব্রেসনান ২/২৫)। ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস : ৩৬৮/১০ (কুক ৬২, পিটারসেন ১১৩, বেল ৬০, বেয়ারস্টো ২২, প্রায়র ৩০, ব্রড ৩২, সোয়ান ১১; স্টার্ক ৩/৭৬, সিডল ৪/৬৩, হ্যারিস ২/৮২)।
Discussion about this post