মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে তখন সূর্য অস্ত যাবো, যাচ্ছি করছে। ঠিক তখনই যেন অারেক সূর্যোদয় দেখল বাংলাদেশ। টেস্টের অভিজাত মঞ্চে প্রথমবারের মতো ইংলিশ বধের তৃপ্তি। মেহদী হাসান মিরাজ স্টিভেন ফিনকে ফিরিয়ে দিতেই যেন জেগে উঠল শেরেবাংলা। দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ড অলআউট ১৬৪ রানে। আর তাতেই ১০৮ রানে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট জিতে নিল বাংলাদেশ। লেখা হল নতুন আরেক ইতিহাস।
৭৭ রানে ৬ উইকেট নিলেন মিরাজ। ম্যাচে ১৫৯ রানে ১২ উইকেট বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড গড়েন তিনি। ৪৯ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন সাকিব।
অার তাতেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজটাও ১-১ ও ড্র করল মুশফিকুর রহীমের দল। এই জয়ে চট্টগ্রাম টেস্টে ২২ রানে হারের আক্ষেপটাও ঘুচল।
ইতিহাস জানাচ্ছে- জিম্বাবুয়ে এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাইরে এই প্রথম কোনো দেশকে টেস্টে হারানোর তৃপ্তি পেল লাল-সবুজরা। টেস্ট ইতিহাসে বাংলাদেশের এটি অষ্টম জয়।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৬৩.৫ ওভারে ২২০/১০ (তামিম ১০৪, ইমরুল ১, মুমিনুল ৬৬, মাহমুদউল্লাহ ১৩, সাকিব ১০, মুশফিক ৪, সাব্বির ০, শুভাগত ৬, মিরাজ ১, তাইজুল ৫*, কামরুল ০; ওকস ৩/৩০, ফিন ০/৩০, মঈন ৫/৫৭, আনসারি ০/৩৬, স্টোকস ২/১৩, রশিদ ০/৪৪)।
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ৬৬.৫ ওভারে ২৯৬/১০ (তামিম ৪০, ইমরুল ৭৮, মুমিনুল ১, মাহমুদউল্লাহ ৪৭, সাকিব ৪১, মুশফিক ৯, সাব্বির ১৫, শুভাগত ২৫*, তাইজুল ৫, মিরাজ ২, কামরুল ৭; ফিন ০/১৮, মঈন ১/৬০, আনসারি ২/৭৬, স্টোকস ৩/৫২, রশিদ ৪/৫২, ওকস ০/১৪)।
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৮১.৩ ওভারে ২৪৪/১০ (কুক ১৪, ডাকেট ৭, রুট ৫৬, ব্যালান্স ৯, মঈন ১০, স্টোকস ০, বেয়ারস্টো ২৪, আনসারি ১৩, ওকস ৪৬, রশিদ ৪৪*, ফিন ০; মিরাজ ৬/৮২, সাকিব ১/৪১, তাইজুল ৩/৬৫, কামরুল ০/১৬, শুভাগত ০/৮, সাব্বির ০/১২)।
ইংল্যান্ড ২য় ইনিংস: (লক্ষ্য ২৭৩) ৪৫.৩ ওভারে ১৬৪ (কুক ৫৯, ডাকেট ৫৬, রুট ১, ব্যালান্স ৫, মইন ০, স্টোকস ২৫, বেয়ারস্টো ৩, ওকস ৯*, রশিদ ০, আনসারি ০, ফিন ০, মিরাজ ৬/৭৭, সাকিব ৪/৪৯, শুভাগত ০/২৫, তাইজুল ০/৭)
ফল: বাংলাদেশ ১০৮ রানে জয়ী
সিরিজ: ২ ম্যাচ সিরিজ ১-১ ড্র
ম্যাচ ও সিরিজ: মেহেদী হাসান মিরাজ
Discussion about this post