চট্টগ্রাম টেস্ট নিশ্চিত করেই বেশ ভাবাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) কর্তাদের। কেননা, সোমবার শেষ হওয়া এই টেস্টে ছিল রিভিউ’র ছড়াছড়ি। আর তাতে আম্পায়ারাই বারবার ভুল প্রমানিত হয়েছেন।
বাংলাদেশ-ইংল্যান্ডের মধ্যকার সেই টেস্টে মাঠের দুই আম্পায়ার ছিলেন ক্রিস গ্যাফেনি ও কুমার ধর্মসেনা। এ দু’জনকে বারবারই বিব্রত হতে হয়েছে। মোট ২৬টি রিভিউ নিয়েছেন দুই দলের ক্রিকেটাররা। তাতে আম্পায়ারের বাজে পারফরমেন্সের চিত্র উঠে এসেছে বারবার।
দুই দেশ রেকর্ড ১৩টি করে রিভিউ নিয়েছে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে।
আর সেই পদক্ষেপে আম্পায়ারদের সিদ্ধান্ত ভুল প্রমাণিত হয় মোট ১১বার। শ্রীলঙ্কান আম্পায়ার ধর্মসেনার সিদ্ধান্ত ভুল প্রমাণিত হয়েছে ৮বার। বাকি ৩টি ভুল সিদ্ধান্ত গ্যাফেনির। এমন ঘটনা টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে এই প্রথমবার ঘটল।
নতুন নিয়মে টেস্টে দুটি দল প্রতি ৮০ ওভারের জন্য দুটি করে রিভিউ নেয়ার সুযোগ পায়। আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত ভুল প্রমাণিত হলে প্রাপ্য রিভিউয়ের সংখ্যা কমে যায় না। একইভাবে প্রথম ৮০ ওভারে একটি দলের কোনো রিভিউ কাটা না গেলে সেগুলো পরের ৮০ ওভারে পাওয়া রিভিউয়ের সঙ্গে যোগ হয় না। তার মানে না নিলে কোন উপকার নেই।
চট্টগ্রাম টেস্টে রিভিউয়ের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কারণ ফিল্ড আম্পায়ারদের ভুলে ভরা সিদ্ধান্ত। প্রযুক্তির সহায়তায় তাদের ভুলগুলো চোখে পড়ার পর রিভিউ বেড়ে যায়। হকআই আর হটস্পটের সুবিধা নিয়ে মাঠের বাইরে থেকে পরের সিদ্ধান্তগুলো আসে।
আম্পায়ার ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম (ডিআরএস) এভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করে দিচ্ছে আম্পায়ারিংও। এর আগে আম্পায়ার মার্ক বেনসন শুধু এই কারণে অবসর নিয়েছিলেন। সামনে কোন আম্পায়ার সরে দাড়ান কে জানে!
বলা দরকার, চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে সোমবার ২২ রানে জিতে সিরিজে এগিয়ে গেল ইংল্যান্ড।
Discussion about this post